হাফিজুর রহমান
০৫.০৭.২০২১ সোমবার
মানুষ বড় বিস্ময়। দুটি নিস্তব্ধতার মাঝে ছোট্ট একটি জীবন তরির অনিশ্চিত ভেসে চলা। বস্তুত চলে যাবার তরেই মানুষ পৃথিবীতে আসে। প্রতিদিনই চলছে চলে যাবার দুরন্ত মিছিল। শত বিদায়ের মিছিলের মাঝে আমরা দাঁড়িয়ে আছি কচুপাতার কম্পমান এক ফোঁটা জল হয়ে।
মানুষ তো মরে না। মানুষ তো জায়গা বদলায়। আমরা মানুষ তা বুঝি না। আমরা ভাবি, এই বুঝি চিরবিদায় হয়ে চলে গেলো। আর দেখা হবে না। আর কথা হবে না। না, আবার দেখা হবে। আবার কথা হবে। হয়তোবা সে কথা হবে সুখের কিংবা দুঃখের। তবে মৃত্যুকালীন উথলে উঠা এ বেদনাবোধ দিয়েই মহামহিম আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তাই প্রিয় মানুষটা চলে গেলে চোখ দুটো অশান্ত সমুদ্রে পরিণত হয়। আপন কারো ডাক এসে গেলে আঁখিযুগল জীবন্ত ঝর্ণার রূপ নেয়।
এ পৃথিবীতে আপন তো অনেকে হয়। মা-বাবার মতো কেউ নয়। এতোটা আপন কেউ হয় না; হতে পারে না। বাবা মানে মাথার উপর একটি জীবন্ত ছায়া। বাবা নেই মানে তাপদাহ বিষম রোদ্দুরে ঘর্মাক্ত পথচলা। একটি ছেলের মাঝে একজন জীবন্ত বাবা বাস করেন। একটি বাবা মানে একটি ছেলের খণ্ডিত রূপ। বাবার মৃত্যু হলে জীবন্ত ছেলেটির একটি অংশের মৃত্যু হয়। অর্ধমৃত হয়েই সে বেঁচে থাকে বাকিটা জীবন।
বাবা হারালে বেদনার রঙ কতোটা নীলগাঢ় হয় তা উপলব্ধি করার সুযোগ আমার হয়েছিলো। আমিও আমার বাবাকে হারিয়েছিলাম। তখন অনেক কেঁদেছিলাম। বাবার মৃত্যুর সাথে আমার অপক্ব কচি হৃদয়টারও মৃত্যু হয়েছিলো। শুধু দেহটা বেঁচে ছিলো অনেক দিন। একসময় অবশ্য হৃদয়ের কচিপাতা গজিয়েছিলো। …
আজ একজন বাবার মৃত্যুতে কলমটা হাতে উঠে এলো। আমার দীর্ঘ একটি যুগের সহপাঠী, প্রলম্বিত একটি সময় ধরে আমি যার সহকর্মী- সে মহৎপ্রাণ সুহৃদ মুফতী মাহমূদুল আমীন ভাইয়ের আব্বাজান মাওলানা দলীলুদ্দীন আহমাদ (গতকালের সাহেব বা দা.বা., আজকের রহ.) আজ সকাল সাড়ে দশটায় পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। মাহমূদুল আমীন ভাইসহ তার ভাইবোন ও আপনজনদের হৃদয়গুলো আজ কতোটা বেদনাকাতর? বিষয়টা ভাবতেই গা শিউরে উঠে। চোখ দুটো ছলছল করে উঠে।… চোখের পাতা ভিজে এসেছে।… এমন সময়ে কলম চালনা সত্যিই দুষ্কর। … আমি বাবার মৃত্যুর পর অনেক চেষ্টা করেছিলাম।… পারিনি। আল্লাহর অনেক বড় অনুগ্রহ, তিনি এমন অসহ্য বেদনাকে প্রলম্বিত করেন না। নীল রঙ্গা এমন বেদনাগুলো বেঁচে থাকলে মানুষ মরে যেতো। একসময় বেদনাগুলো দুর্বল হয়ে যায়। একটি সময়ে এসে বেদনাটা মরে যায়। ফলে মানুষ বেঁচে যায়। সে আবার চঞ্চলতা ফিরে পায়। সে আবার প্রকৃতস্থ হয়ে উঠে।
তখন আমি দুরন্ত শৈশবের উচ্ছল সময় পার করছি। বাহাদুরপুর আলিয়া মাদরাসাটা আমাদের গ্রাম থেকে বেশ কাছে। বাহাদুরপুর মিঁয়া বাড়ি মাদরাসায় তখন আমি পড়ি। বিশাল বন-অরণ্য ভেদ করে কখনো সখনো আলিয়া মাদরাসার মাঠে গিয়ে উঠতাম। দেখতাম, জ্ঞানজ্যেষ্ঠ একটি মহীরুহ ধীর পদে হেঁটে চলছেন। তাঁকে অনুসরণ করে চলছে একটি বিদ্যোৎসাহী জটলা। তখন বড় কাউকে দেখলে স্বভাবগত ভয়ে এড়িয়ে যেতাম। ফলে জ্ঞানজ্যেষ্ঠ এ মহীরুহটা থেকেও যোজন দূরত্বে চলে যেতাম। মাহমূদুল আমীন ভাইয়ের আব্বার ওই সুখময় দৃশ্যটি একাধিকবার দেখার সুযোগ হয়েছে বলে মনে পড়ে।
রাহমানিয়াতে হযরত আসতেন। মাহমূদুল আমীন ভাইয়ের সহপাঠী হিসেবে প্রায় প্রতিবারই দেখা হতো। আমাদের দেখলে তারকীব (আরবী বাক্যবিন্যাস রীতি) জিজ্ঞেস করতেন। তারকীব মানেই তখন একটি ভয়ার্ত বিষয়। তিনি আলিয়া শিক্ষাব্যবস্থা থেকে উঠে আসা একজন প্রাজ্ঞ আলেমে দীন। আলিয়া মাদরাসা সম্বন্ধে আমাদের একটি অবাঞ্ছিত ধারণা ছিলো। ভাবতাম, আলিয়া মাদরাসায় পড়ে তিনি তারকীব জানেন কি করে? বিষয়টা আমাদের মাঝে একধরনের বিস্ময় তৈরি করতো। জ্ঞানিক সীমাবদ্ধতার কারণে এমন ভাবনার অবতারণা হতো তখন। বস্তুত এ শিক্ষাব্যবস্থা থেকে অনেক বড় বড় আলেম, মুফতী, মুহাদ্দিস, আল্লাহওয়ালার জন্ম হয়েছে। একসময় বর্তমানের কওমী শিক্ষাব্যবস্থা থেকেও ওখানে ভালো পড়াশোনা হতো।
মা’হাদুল বুহুসিল ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠিত হওয়র পর হযরতের ঘনিষ্ঠতার সুযোগ হয়েছে বেশ। খুব কাছাকাছি হওয়ার সুযোগ পেয়ছি। সুখ-দুঃখের অনেক গল্প আমাকে শুনিয়েছেন। আমাকে খুব স্নেহ করতেন। দূর থেকে দেখা হলে হাতের ইশারায় কাছে ডাকতেন। ব্যক্তিগত বিষয় থেকে শুরু করে নানা বিষয় খুটে খুটে জিজ্ঞেস করতেন। তিনি একসময় ইতিহাসের শিক্ষক ছিলেন। ইতিহাস বিষয়ে তাঁর জানাশোনা ছিলো বিস্ময়কর রকমের। নিগূঢ় তাত্ত্বিক ইতিহাস তিনি বর্ণনা করতেন। আমাদের গ্রাম, গ্রামের পাশ দিয়ে এঁকে বেঁকে বয়ে চলা মৃত নদীটির অনেক গল্প তাঁর কাছ থেকে শুনেছি। বড় ইচ্ছে ছিলো, আমাদের এলাকার ইতিহাস বিষয়ে তার কাছ থেকে পাঠ গ্রহণ করবো। ব্যস্ততার জঞ্জাল ঠেলে সে সময়টুকু বের করতে পারলাম কোথায়?
আমরা বড় নিষ্ঠুর। হাতের নাগালে থাকা রত্নের মূল্য আমরা বুঝি না। অনেক অনেক দিন খুব কাছে কাছে ছিলেন। দেশ-কাল বিষয়ে সমৃদ্ধ হবার কতো শত অবারিত সুযোগ ছিলো। এখন আক্ষেপ করাটাও একধরনের বোকামো অপরাধ। আমাদের অনুরোধে তিনি কয়েকটি ইতিহাসের মজলিস করেছিলেন। সে অনুষ্ঠানগুলোতে আমরা অনেক সমৃদ্ধ হয়েছিলাম। খণ্ড খণ্ড করে হাজী শরীয়াতুল্লাহ ও দুদু মিয়া রহ. এর বীরোচিত গল্পও আমাদের শুনিয়েছেন। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পর গাড়িতে তার সাথে শেষ দেখাটা হয়েছিলো। দূর থেকে এগিয়ে গিয়েছিলাম। এক টুকরো মিষ্টি হাসি দিয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এরপর আর দেখা হয়নি। দেখা করতে পারিনি।…
মাওলানা দলীলুদ্দীন রহ.। তাঁর জীবনের বয়সী ব্যধির বেদনাবিধুর সময়গুলো তাঁর সবচেয়ে আদরের যোগ্য সন্তান মুফতী মাহমূদুল আমীন ভাইয়ের বাসায় কাটিয়েছিলেন। মাহমূদুল আমীন ভাই তার প্রিয় বাবা-মাকে উমরার মাধ্যমে আল্লাহর ঘর দেখিয়ে এনেছেন। খুব কাছ থেকে আমাদের করা পর্যবেক্ষণ মতে মাহমূদুল আমীন ভাই তার বাবার সবটুকু সন্তোষ ও ভালোবাসা অর্জন করে নিয়েছিলেন। সে আস্থা ও ভালোবাসার জায়গা থেকেই তিনি মাহমূদুল আমীন ভাইকে নিজের স্থলাভিষিক্ত করে গিয়েছেন। বাবার এমন নিরঙ্কুশ সন্তোষ ও ভালোবাসা প্রাপ্তি সত্যিই এক স্বর্গীয় সম্পদ। এগুলোই তো পরকালীন মুক্তির প্রধানতম পাথেয়।
মরহুম এ আলেমে দীনকে কাছে থেকে যতটুকু দেখেছি তাতে আমার বিশ্বাস হয়েছে, তিনি একজন আল্লাহপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। তিনি হাজী শরীয়াতুল্লাহ রহ. এর পঞ্চম প্রজন্ম পীর মুহসিনুদ্দীন দুদু মিয়া রহ. এর খুব কাছের মানুষ ছিলেন। দীনী আন্দোলনে ছিলেন তাঁর বলিষ্ঠ সহকর্মী। তিনি কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে তাঁর দীনী আন্দোলনের অগ্রপথিক ছিলেন। অনাচার মূলোৎপাটনে তাঁর ভূমিকা ছিলো বিস্ময়কর। দীনকেন্দ্রিক তাঁর এ জাতীয় বলিষ্ঠ ভূমিকাগুলো আজো এলাকার মানুষের মাঝে সুখময় স্মৃতি হয়ে বেঁচে আছে। তিনি বেশকিছু গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। প্রতিবাদী গ্রন্থ রচনা করে তিনি কারান্তরীণও হয়েছিলেন। তাঁর লেখা গ্রন্থ প্রশাসন কর্তৃক বাজেয়াপ্তও হয়েছিলো। কবিতার হাত ছিলো তাঁর বেশ পক্ব। কাব্য গ্রন্থও তিনি রচনা করেছিলেন। তবে আক্ষেপের ব্যাপার হলো, তাঁর সে দীনী সাহিত্যকর্মগুলো আজ সংরক্ষিত নেই। গ্রন্থগুলো বেঁচে থাকলে তিনি বেঁচে থাকতেন আমাদের মাঝে অনন্তকাল। তিনি বাহাদুরপুর আলিয়া মাদরাসার ছিলেন দীর্ঘকালের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল। পীর মুহসিনুদ্দীন দুদু মিয়া রহ. এর ঘনিষ্ঠজন হওয়ার সুবাদে তিনি বাহাদুরপুর পীর সাহেবদের পারিবারিক অভিভাবক ছিলেন। পারিবারিক অনেক বিষয়-আষয় তাঁর সুচিন্তিত পরামর্শে সুসম্পন্ন হতো। তিনি অনেক দিন বেঁচে ছিলেন। অনেক কিছু দেখেছিলেন। অনেক সমৃদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার ছিলো। অনেক কিছু অর্জন করার ছিলো। কিন্তু আমরা যে দুর্ভাগা!…
মরহুম এ আলেমে দীন এর জানাযায় অংশগ্রহণ করে গর্বিত ও ঋদ্ধ হবার বড় ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু করোনাকেন্দ্রিক যাতায়াত সঙ্কটের কারণে সে ইচ্ছের বাস্তবায়ন আর সম্ভব হয়ে উঠেনি।
মাওলানা দলীলুদ্দীন আহমাদ রহ. জীবনের শেষ সময়গুলো শিবচরে কাটিয়েছেন। বিশেষত শেষ দুটি দিন শিবচর শহরে তাঁর মেয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন। করোনাকেন্দ্রিক নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তাঁর খুব আদরের টুকরো মুফতী মাহমূদুল আমীন ভাইয়ের বাসায় আসতে পারেননি। ফলে তাঁর জীবনের অন্তিম সময়গুলো আমাদের অবলোকন করার সুযোগ হয়নি। তাঁর প্রিয় দৌহিত্র গোলাম মাওলা জীবন সায়াহ্নের অন্তিম সময়গুলোতে তাঁর শিয়রে থাকার সুযোগ পেয়েছে। গোলাম মাওলা তার প্রিয় নানার শেষ সময়গুলোর কিছুটা চিত্র ও তার অনুভূতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। তার তুলে ধরা সে চিত্র ও অনুভূতিগুলো কিছুটা সম্পাদনা ও সংক্ষেপন সহযোগে এখানে তুলে দিচ্ছি।
“০৫/০৭/২০২১ ঈসায়ী। রোজ শবিবার। নানার হাত পা ফুলে যায়। রবিবার বিকেলে আমি আর ছোট আন্টি বাহাদুরপুর থেকে নানাকে আমাদের বাসার নিয়ে আসি। এরপর থেকেই নানা ধীরে ধীরে খুব বেশি অসুস্থবোধ করতে থাকেন।
সোমবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত আম্মুর কোলে শুয়ে ছিলেন নানা। এরপর আমি যাই। কিছুক্ষণ শুয়ে থাকেন। এরপর কিছুক্ষণ বসে থেকে আমার বুকে মাথা রেখে শুয়ে থাকেন।
এরপর আন্টি এসে নানাকে আহার করান। এর কিছুক্ষণ পর আমি নানাকে শুইয়ে দিই। কিছুক্ষণ হাত টিপে দিই। পিঠে হাত বুলিয়ে দিই। তখন নানার শ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। একটু পরে সম্ভবত ১০.২০ এর দিকে ডান কাতে শুয়ে নানা স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে শুরু করেন। তখন কোনোরকম কষ্ট অনুভব হচ্ছিলো না। শ্বাস নেওয়ার শব্দটা আমি স্পষ্ট শুনছিলাম। কোমলভাবে নানা শ্বাস নিচ্ছিলেন। সম্ভবত ৫-৭ মিনিট শ্বাস গ্রহণের শব্দটা ছিলো। এরপর শব্দটা বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমি নানার দিকে তাকিয়ে দেখি, শব্দ নেই। তবে নানা নিঃশব্দে শ্বাস নিচ্ছেন। এর একটু পরে আব্বু বললো, তোর নানাতো নড়ছেন না। তখন আমি বসে নানাকে সোজা করে নানার গালে, মাথায় ও বুকে হাত বুলিয়ে ‘নানা নানা’ বলে ডাকতে থাকি। কিন্তু নানার কোনো সাড়া নেই। বুঝতে পারলাম, নানা নেই। তখন আম্মুকে ডাকি। আমার কান্নার শব্দে আন্টি ও ভাইয়া আসেন। এরপর আশপাশের লোকজন আসতে শুরু করে।
ছোট খালু কাফনের কাপড় আনেন। আমি এলাকার কয়েকজন ছেলেকে নিয়ে মসজিদ থেকে খাটিয়া আনি। এলাকার নজরুল ইসলাম ভাই, আমি ও এক মামা মিলে নানাকে গোসল দিই। এরপর একটা এ্যাম্বুলেন্সে করে নানাকে মির্জারচর নিয়ে যাই।
নানা মৃত্যুর পাঁচ দিন আগে থেকেই স্পষ্টভাবে কোনো শব্দ উচ্চারণ করতে পারতেন না। কিন্তু মৃত্যুর আগের দিন ১০.৩০ এর দিকে একেবারে স্পষ্ট ভাবে অনেক জোরে একবার বললেন ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’।
এতোদিন হুযূরদের মুখে শুনেছি যে, আল্লাহর ওলীদের মৃত্যু এতোটাই আরামদায়ক হয়, যেন মায়ের কোলে শুয়ে শিশু দুধ পান করতে করতে ঘুমিয়ে যায়। আজ এরকম মৃত্যু নিজের চোখে দেখলাম। পাশে শুয়ে তাকিয়ে আছি, অথচো বুঝতেই পারলাম না যে, কখন নানা চলে গেলেন। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু হয় সোমবার ফজর ও যোহরের মাঝামাঝি সময়ে, ঠিক তেমনি আমার নানার মৃত্যুও হয় সোমবার ফজর ও জোহরের মাঝামাঝি। নানাকে যারা যারা চেনেন, সকলেই এক বাক্যে আল্লাহর ওলী বলে সাক্ষী দিতেন।
আল্লাহ তা‘আলা আমার নানাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুক। আমিন।”
বস্তুত তাঁকে পরিমাপ করার মতো সক্ষমতা আমার নেই। তাঁর ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে খুব বেশি জানা-শোনা আমার নেই। ভাঙ্গা ভাঙ্গা যতটুকু তাঁকে জানতে পেরেছি তাতেই মনে হয়েছে, নৈতিক ও জ্ঞানিক দিক থেকে তিনি ছিলেন আকাশ ছোঁয়া এক প্রকাণ্ড মহীরুহ। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতের শীর্ষ জায়গাটিতে রাখেন- এতটুকু নিবেদন ও কাকুতি দয়াময় আল্লাহ সমীপে করছি।
اللهم ارحمه واغفر له وأسكنه فسيح جناتك اللهم جازه عن الإسلام والمسلمين خير الجزاء