মুহাম্মাদ ইরফান জিয়া
বাইতুল্লাহর যিয়ারত মুমিনের জীবনের পরম লক্ষ্য। জীবনে একবার হলেও সে ছুটে যেতে চায় বাইতুল্লাহর আঙ্গিনায়। মুমিন মানেই তাই হৃদয়ে লালন করা জ্বলজ্বলে কাবার ছবি। স্বপ্নেই তার শুরু হয়ে যায় সাফা-মারওয়ার সায়ী। মীনা-মুযদালিফা আর মদীনার সবুজ গম্বুজের স্বপ্ন তাকে তাড়িত করে অহর্নিশ।
সারাজীবনের লালিত এ স্বপ্ন পূরণে প্রতি বছর হজের মাসে বাইতুল্লাহর ছায়ায় সমবেত হয় লক্ষ লক্ষ খোদাপ্রেমী। তাদের লাব্বাইক লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয় কাবা প্রাঙ্গণ। হজ করার তীব্র বাসনা নিয়ে সুদূর বাংলা থেকেও অসংখ্য মানুষ রওয়ানা হন মক্কা-মদীনার পানে। ‘প্রভু! তোমার দরোজায় হাযির আমি’ এই চেতনা বুকে ধারণ হেজাযের পথে ছুটে চলে হজ কাফেলা। পূবের মুসাফির চলে পশ্চিমে। এসব কাফেলায় শামিল হয়ে এবারো হয়তো অনেকেই যাচ্ছেন কাবার পানে, মদীনার টানে।
খোদাপ্রেমের গভীর সমুদ্রে অবগাহনের আগে আমাদের ভেবে দেখে দরকার- রাব্বুল আলামীনের দরবারে হাযিরী দেয়ার মতো পর্যাপ্ত পুঁজি কি আমাদের সংগ্রহে আছে? পুঁজি শব্দের সাধারণ অর্থ হলো, আর্থিক উপায় উপকরণ। এখানে কিন্তু সে আর্থিক পুঁজির কথা বলা হচ্ছে না। সে পুঁজি তো স্বাভাবিকভাবে সব মুসাফিরই সংগ্রহ করেন। অন্যকথায়, এই পুঁজি অর্জনের পরই সাধারণত সবাই সফরের নিয়ত করেন।
এখানে যে পুঁজির কথা বলা উদ্দেশ্য- তা হলো রুহানী সম্বল। দুনিয়াবী সম্বল গ্রহণের এই তোড়জোড়ে আমরা যে ‘সম্বল’ সংগ্রহ করতে অনেক সময়ই ভুলে যাই। অথচ ‘রুহানী সম্বল’ ছাড়া আমাদের ‘হজ সফর’ ইবাদত না হয়ে হবে নিষ্প্রাণ এক ভ্রমণ। সেজন্যে হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আমলে আর্থিক পুঁজির চে’ রূহানী সম্বলের দিকে আমাদের অনেক বেশি মনোযোগী হওয়া উচিৎ।
চাই পরিশুদ্ধ নিয়ত
ইখলাসের আভিধানিক অর্থ খালেস করা, বিমুক্ত করা, পরিশুদ্ধ করা। খালেস ঘি ঐ ঘিকেই বলা হয় যার মধ্যে অন্য কোন বস্তুর মিশ্রণ থাকে না। ইবাদতের মধ্যে ইখলাসের অর্থও এটাই; অর্থাৎ ইবাদত থেকে ইবাদত-বহির্ভূত সবকিছুকে আলাদা করে ফেলা। নামায আদায়ের মাধ্যমে বুযুর্গ হিসেবে প্রসিদ্ধ হওয়ার আশা করা, যাকাত দিয়ে খ্যাতির আশায় থাকা -এগুলো হল ইবাদত-বহির্ভুত বিষয়। ইবাদতের ক্ষেত্রে এসব বিষয়কে নিজের মাকসাদ বানানো শরীয়তের দৃষ্টিতে কিছুতেই কাম্য হতে পারে না।
আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইখলাসের কথা গুরুত্ব বর্ণনা করে সূরা যুমার-এর এগারতম আয়াতে বলছেন, ‘বলুন, আমি তো আদিষ্ট হয়েছি আল্লাহর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে তাঁর ইবাদত করতে’।
এ আয়াতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আদেশ করা হয়েছে ইখলাসের সাথে আল্লাহর ইবাদত করতে। শুধু তাই নয়; এ ব্যাপারে তাঁর আদিষ্ট হওয়ার কথা উম্মতকেও জানাতে বলা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন আল্লাহ তা‘আলার একান্ত প্রিয়ভাজন। তাঁকেই যখন এত তাগিদের সাথে ইখলাসের আদেশ করা হয়েছে সেখানে আমাদের জন্য হুকুম কী হবে তা সহজেই অনুমেয়।
আল্লাহ তা‘আলার আদেশ মোতাবেক মুমিনের প্রত্যেকটা আমলেই ইখলাস থাকতে হবে। কিন্তু হজের মধ্যে ইখলাসের প্রয়োজনীয়তা অন্য সব আমল থেকে বেশি। কারণ আমাদের জীবনে যেসব আমল বারবার করতে হয় সেগুলোতে যদি প্রথমবার ইখলাসের অপূর্ণতা থাকে; এমনকি ইখলাস সম্পূর্ণ অনুপস্থিত থাকে, তবুও পরবর্তীতে সে আমল করার সময় নতুনভাবে নিয়তকে খালেস করার চেষ্টা করা সম্ভব। অপরদিকে যে আমল জীবনে ফরয হয় মাত্র একবার, সেটাতে যদি ইখলাসের অভাব থাকে তাহলে তার ক্ষতিপূরণ আর সম্ভব নয়।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের মাধ্যমে আমরা বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করি। দেখুন, নামায প্রতিদিন পাঁচবার করে ফরয হয়। এ নামাযের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির যদি প্রথম দিনেই ইখলাস অর্জিত নাও হয় তবু চেষ্টা করলে কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহ পর তার নামাযে ইখলাস এসে যেতে পারে। রোযা এবং যাকাত যদিও নামাযের মতো প্রতিদিন আসে না, তবু প্রতি বছর একবার তার মওকা তো অবশ্যই আসে; প্রথমবার ইখলাস না থাকলেও পরবর্তীতে চেষ্টা করে ইখলাস অর্জন সম্ভব।
এই দিক থেকে হজ সম্পূর্ণ বিপরীত। উলামায়ে কেরামের সর্বসম্মতিক্রমে হজ জীবনে শুধু একবারই ফরয হয়। সুতরাং প্রথমবারের ফরয হজে যদি কারো ইখলাসের ত্রুটি থাকে তাহলে তার ক্ষতিপূরণ আর কিছুতেই সম্ভব নয়।
সুতরাং আমাদের হজকে ইখলাসপূর্ণ করতে হলে সেটাকে ইখলাস পরিপন্থী সব বিষয়ের মিশ্রণ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে হবে। লোকে হাজী বলবে -এ নিয়তে হজ করা যাবে না। হজ না করলে লোকে কী বলবে! -এটা ভেবেও হজ করা যাবে না। আবার কোন রকম নিয়ত ছাড়া নিছক রেওয়ায পালনার্থেও হজ করা যাবে না। বরং হজ করতে হবে একমাত্র আল্লাহর জন্যে। আল্লাহ তা‘আলাস সূরা আলে ইমরানের সাতানব্বইতম আয়াতে ইরশাদ করছেন, ‘মানুষের মধ্যে যারা আল্লাহর ঘরে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ ঘরের হজ করা তাদের জন্যে অবশ্যকর্তব্য’।
সম্পদ যেন হয় হালাল
নিয়ত সহীহ করার পর আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে সম্পদের দিকে। অনেকেই এদিকে তেমন গুরুত্ব দেন না। সুদ, ঘুষ বা অন্য যেকোন রকম হারাম উপায়ে অর্জিত অর্থ নিয়ে হজে যান। অথচ হাদীসে স্পষ্ট আছে, অনেক উষ্কখুষ্ক চুল বিশিষ্ট মানুষ দীর্ঘ সফর শেষে দুই হাত তুলে দু‘আ করে; এদিকে তার খাদ্য-বস্ত্র সবই হারাম অর্থে উপার্জিত। তাহলে কিভাবে তার দু‘আ কবুল হবে?
এ হাদীস থেকে বোঝা যায়, হারাম উপর্জন সাথে থাকলে দু‘আ কবুল হয় না। যেহেতু দু‘আ একটি ইবাদত তাই এ থেকে অন্যান্য ইবাদতের অবস্থাও বোঝা যায়; অর্থাৎ হারাম মাল সাথে থাকলে কোন ইবাদতই কবুল হবে না। সুতরাং হজের সফরের মৌলিক ও আনুষাঙ্গিক সব খরচই যেন হালাল উপার্জন থেকে হয়, সেদিকে খুব খেয়াল রাখতে হবে।
রাব্বুল আলামীনের অতিথি
আল্লাহ তা‘আলা আপনাকে তাওফীক দিয়েছেন; আপনি হজের সফরে বাইতুল্লাহর উদ্দেশে বের হয়েছেন। এ হিসেবে আপনি রাব্বুল আলামীনের অতিথি। এ অতিথি যদি ঘর থেকে বের হয়েই সুবিধা অর্জনের লড়াই শুরু করে দেয় তাহলে কি সেটা খুব শোভনীয় হবে? এমনটাই তো দেখা যায়। সফরের শুরু থেকেই বেশির ভাগ মানুষ সুবিধা অর্জনের প্রতিযোগিতা শুরু করে দেন। বাসে উঠার সময় হুড়াহুড়ি, বাস থেকে নামার সময় তাড়াতাড়ি, এমনকি বিমানে উঠার সময়ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
সেখানে পৌঁছার পর দেখা যায় আরেক দৃশ্য। বাংলাদেশী কোন হাজী সাহেবের সাথে পরিচয় হলেই প্রথম প্রশ্ন হয়, আপনি কত টাকা দিয়ে এসেছেন? যদি উত্তরে বলা টাকার পরিমাণ প্রশ্নকারীর খরচ হওয়া টাকার চেয়ে কম হয় তাহলে পরের প্রশ্ন আসে, আপনার বাসা হারাম থেকে কতদূরে? বাসার কোয়ালিটি কেমন? খাবারের মান কেমন ইত্যাদি। এসব তুলনামূলক আলোচনার পর শুরু হয় খেদোক্তি আর আফসোস। টাকা বেশি খরচ হওয়ার হতাশা আর দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলো সারাক্ষণই তাকে অস্থির ও বিরক্ত করে রাখে। ফলে ট্রাভেলস এজেন্সির দায়িত্বশীলদের সাথে ঝগড়া করা নিত্য দিনের রুটিন হয়ে যায়।
বাস্তবতা হল, কোন ট্রাভেলস এজেন্সিই শতভাগ ত্রুটিমুক্ত নয়। এমনকি অনেক সময় তো এমনও হয় যে, উদ্ভূত পরিস্থিতি তাদের ইচ্ছাকৃত সৃষ্ট নয় এবং সেটা সামাল দেয়ার সাধ্য তাদের নিজেদেরও থাকে না। সে হিসেবে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায়ভারও তার ওপর পড়ে না।
আবার যদি কোন এজেন্সি কখনো ইচ্ছা করেই হাজীদের বিপাকে ফেলেন তাহলে সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হল, এই ধরনের এজেন্সির দায়িত্বশীলদের সাথে ঝগড়া করে তাদেরকে শুধরে ফেলার ক্ষমতা কি হাজী সাহেবের আছে? বরং দায়িত্বশীলদেরকে ঠাণ্ডা মাথায় সুন্দরভাবে নিজেদের সমস্যার কথা বুঝিয়ে বললেও হয়তো কিছুটা ফায়দা পাওয়া যাবে। এরপরও কাজ না হলে সর্বোচ্চ পর্য়ায়ের সবর প্রদর্শন করতে হবে। কিছুতেই আত্মনিয়ন্ত্রণ হারানো যাবে না। রাব্বুল আলামীনের মেহমানগণের প্রত্যেকটা আচরণ-উচ্চারণ তাঁর শান অনুযায়ীই হওয়া উচিৎ।
দেশে ফেরার পর
দেশে ফেরার পর অনেককেই দেখা যায় নিজের হজের কথা সবাইকে জানানোর জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকেন। এটা করতে মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করেন। কেউ কেউ মক্কা-মদীনার দর্শনীয় স্থানের বর্ণনা দিতে থাকেন। অন্য কোন হাজী সাহেবের সাথে দেখা হলেই বলেন, আরে আপনি জাবালে নূরেই যাননি, তাহলে আপনি আর কী হজ করেছেন! ওয়াদিয়ে জিন-এ না গেলে তো আপনার সফরই বৃথা!
কেউ কেউ এতটা স্পষ্টভাবে উল্লেখ না করলেও কোন না কোনভাবে উপস্থিত মানুষকে বুঝিয়ে দেন যে, আমি হজ করেছি। জনৈক বুযুর্গ এক লোকের মেহমান হয়েছিলেন। সে ব্যক্তি তার খাদেমকে বলল, আমার দ্বিতীয় হজ থেকে আনা পাত্র দিয়ে হযরতকে পানি পান করাও। বুযুর্গ বললেন, আপনি তো এক কথার মাধ্যমেই দুই হজকে শেষ করে দিলেন!
আবার কেউ কেউ একটু ভিন্নভাবে নিজের হজের কথা প্রকাশ করেন। হজ থেকে ফিরেই তারা সফরের কষ্ট-ক্লেশের বর্ণনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এতে একদিকে যেমন তার নিজের সওয়াবে ঘাটতি হতে থাকে অন্যদিকে শ্রোতাদের মধ্যেও হজের সফরের ব্যাপারে ভীতি জন্মাতে থাকে। অনেক মানুষ এমন আছেন যারা অন্যের সফরের কষ্টের কথা শুনে শুনে নিজেদের ফরয হজকে বিলম্বিত করছেন। সুতরাং হজের কষ্টের বর্ণনা করা আর কাউকে হজ করতে বাধা দেয়া একই কথা। তবে যদি কোন বিজ্ঞ লোক ইন্তিজামের সুবিধার্থে সেখানের সম্ভাব্য সমস্যাগুলোর কথা আগেভাগেই বলে দেন, সেটার কথা ভিন্ন।
হজ কবুলের আলামত
একজন হাজী নিজের সাধ্যানুযায়ী হজের সমস্ত শর্ত পালন করলেও তাকে আশা-আকাঙ্ক্ষার দোলাচলে দুলতে হয়। কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারেনন না যে, তার হজ অবশ্যই কবুল হয়েছে। তবে কিছু আলামত এমন রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে হজ কবুল হওয়ার ব্যাপারে প্রবল আশা করা যায়।
হজের পর যদি কেউ পুরোপুরিভাবে দীন পালনের চেষ্টা শুরু করে দেন, আশা করা যায় তার হজ কবুল হয়েছে। হজের পর কারো লেনদেন, আদব-আখলাক, ব্যবহার ইত্যাদির মধ্যে উন্নতি দেখা যাওয়াটাও হজ কবুল হওয়ার আলামত। হজের পর যদি নিজের আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনুভব হয়, তাহলেও আমরা কবুলিয়াতের আশা করতে পারি।
হজ কবুল হওয়ার বড় একটি আলামত হল, আবার সেখানে যাওয়ার পিপাসা অন্তরে সৃষ্টি হওয়া। এজন্য সব সময় দু‘আ এবং চেষ্টা করতে হবে যেন বারবার আল্লাহর ঘরে হাযিরী দেয়ার ইচ্ছা অন্তরে জাগ্রত হয়। আসলে সত্যিকারার্থে যিনি খোদাপ্রেমিক হন, তার হৃদয়ে তো সব সময়ই জ্বলজ্বল করে কাবার ছবি। শয়নে-স্বপনে তিনি ভাবেন মসজিদে নববীর কথা। সুদূর বাংলাদেশে থেকেও তার মন পড়ে থাকে হারামের প্রাঙ্গণে। একবার হজ করে কিছুতেই মন ভরে না তার। তাই সুযোগ পেলেই তিনি ছুটে যান বারবার।
এখনো যাদের ডাক আসেনি
চোখের সামনে চলে যায় হেজাযের কাফেলা। আমরা নির্বাক, নিস্তব্ধ। ছলছল নয়নে তাদের বিদায় জানাই। বাইতুল্লাহ যিয়ারতের পরম সৌভাগ্য থেকে আমরা এখনো বঞ্চিত। আমাদের ভাগ্যে জোটেনি বাইতুল্লাহর যিয়ারত। পিপাসায় ছাতি ফেটে চৌচির। কাবা প্রাঙ্গণে বসে আল্লাহর ঘরের দিকে তাকিয়ে যমযম পান করার জন্যে মন বেচাইন হয়ে আছে। কিন্তু হায়, রাব্বে করীমের পক্ষ থেকে এখনো আসেনি ডাক।
অর্থ-সম্পদ থাকলেই কি বাইতুল্লাহর মুসাফির হওয়া যায়? মনে হয় না। বিত্তবান কত মানুষকেই তো দেখা যায় এখনো তারা হাযিরি দিতে পারেননি আল্লাহর দরবারে। আবার কত সাধারণ দিনমজুরকেও দেখা যায় ইহরামের সাদা লেবাসে আল্লাহর দরবারে হাযির হতে। সেজন্যেই মনে হয়, পরম এ সৌভাগ্য লাভের জন্যে প্রভুর দরবার থেকে ডাক আসাটা খুব জরুরী। সে ডাকের জন্যেই প্রভুর দরবারে রোনাজারী করি আর প্রতীক্ষায় থাকি অষ্টপ্রহর।
হেজাযী কাফেলার হে মুসাফির!
প্রভুর আঙ্গিনায় হাযিরী দেয়ার সময় এ বান্দাকেও একটু স্মরণ রেখো। তাঁর দরবারে লুটিয়ে পড়ার সময় আমার হয়েও দু’ফোটা অশ্রু ফেলো। রাব্বে কারীমের দরোজায় কড়া নাড়ার সময় আমার মিনতিটুকুও পৌঁছে দিও। মদীনার সবুজ গম্বুজের ছায়ায় কান্নাঝরা আবেগের মাঝেও অধমের সালামখানি পবিত্র রওযায় পেশ করতে ভুলো না। আল্লাহর দরবার থেকে আমার জন্যে নিয়ে এসো মক্কা-মদীনার দাওয়াতপত্র।
প্রভুর দরবারে হাযির হতে না পারা এক বান্দার জন্যে এতটুকু তোমাকে করতেই হবে, হেজাযী কাফেলার হে মুসাফির!