পৃথীবীর প্রান্তে প্রান্তে বিভিন্ন সময়ে আল্লাহর ঘর মসজিদকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হয়েছে। হাজার বছরের ঐতিহ্যের ধারক মসজিদকেও কুফরী শক্তির হাতে নিগৃহিত হতে হয়েছে। আজো অনেক মসজিদ কুফরী শক্তির হাতে বন্দি হয়ে রোনাজারী করছে। এধরনের কিছু মসজিদ নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক আয়োজনের আজকে থাকছে দ্বিতীয় পর্ব।
আদিনা মসজিদ, পান্ডুয়া, মালদহ, ভারত
সিরিয়ার জামে উমাবীর আদলে গড়ে উঠা ভারত উপমহাদেশের প্রাচীন বৃহত্তম মসজিদ এটি। বাংলার প্রাচীন রাজধানী পান্ডুয়া বর্তমান ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মালদহ জেলার হযরত পান্ডুয়া বা ফিরোজাবাদে আদিনা মসজিদটি অবস্থিত।
এ পান্ডুয়াতেই জালালুদ্দীন তাবরিজী এবং নূর কুতুব আলম নামের দুজন সুফী সাধকের খানকাহ বিদ্যমান রয়েছে। মসজিদটির পেছনের দেয়ালে প্রাপ্ত একটি শিলালিপির বিবরণ মতে মসজিদটি বাংলার শাসক ইলিয়াস শাহের পুত্র সিকান্দার শাহ ১৩৬৪ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ কাজ শুরু করে ১৩৭৪ খ্রিস্টাব্দে শেষ করেন। তবে তিনি মসজিদটি সুসম্পন্ন করে যেতে পারেন নি।
নকশা ও স্থাপত্যশিল্পের বিচারে আদিনা মসজিদটি দামেস্ক, কর্ডোভা ও কায়রোর মসজিদগুলোর সাথে তুলনীয় বিশ্বের সেরা মসজিদগুলোর পর্যায়ভুক্ত ছিলো। কাল পরিক্রমায় অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে ভারতের অসংখ্য মসজিদের মতো এ মসজিদটিও অযত্ন-অনাদরে ধ্বংসপ্রায় হয়ে পড়ে আছে। ছাদযুক্ত প্রবেশদ্বারসহ পশ্চিম দেয়ালের অংশবিশেষ ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
বাবরী মসজিদের মতো এ মসজিদটিকে নিয়েও অশুভ কানাঘুষার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আল্লাহ তা‘আলা মসজিদটিকে সমহিমায় ফিরিয়ে দিয়ে সকল প্রকার কূটজালকে ছিন্ন করে দিন।