মসজিদের কান্না-৪

যাইদানী মসজিদ, তাবরিয়া, ফিলিস্তিন

উমর রা. এর খেলাফত কালে আমর ইবনুল আস রা. এর মাধ্যমে ফিলিস্তিন অভিযান সূচিত হয়। ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে আবু উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ রা. এর নেতৃত্বে এবং উমর রা. এর উপস্থিতিতে এক সন্ধিচুক্তির মাধ্যমে বাইজেন্টাইন বাহিনীর হাত থেকে পূর্ণ ফিলিস্তিন মুসলিম বাহিনীর হাতে আসে।

১০৯৯ খ্রিস্টাব্দে ক্রুসেডাররা মসজিদুল আকসা সমৃদ্ধ পবিত্র এ এলাকাটি দখল করে নেয়। ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে সুলতান সালাহুদ্দীন রহ. ক্রুসেডারদের পরাজিত করে এ এলাকাকে পুনরুদ্ধার করেন। তখন থেকে প্রায় আট শত বছর পর্যন্ত পবিত্র এ অঞ্চলটি মুসলমানদের হাতে ছিলো। কিন্তু ১৯১৭ সাল থেকে শুরু হয় বেদনা বিধুর পরাজয়ের ইতিহাস।

বৃটিশ, এমেরিকা ও জাতিসংঘের অন্যায় সিদ্ধান্তে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ইহুদীরা স্বাধীন ফিলিস্তিন ভূমিতে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠনের চূড়ান্ত সুযোগ লাভ করে। এরপর আরবদের অদূরদর্শিতা ও সমন্বয়হীনতার ফলে ফিলিস্তিনের ভূমি সঙ্কুচিত হতে থাকে।

ইসরাইলে সে ধারা এখনো চলমান। ইয়াহুদীরা ফিলিস্তিন দখল করে মুসলমানদেরকে বাস্তুচ্যুত করে তাদের ঘর বাড়ি সহায় সম্পত্তি নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। এবং অসংখ্য মসজিদকে মদ্যশালা, নৃত্যশালা ও সিনাগগে রূপান্তরিত করে। নিষিদ্ধ করে দেয় আরো অনেক মসজিদ।

যাইদানী মসজিদ সেসব মসজিদের অন্যতম। এটি ফিলিস্তিনের তবারিয়া শহরে অবস্থিত। এ শহরটি হাদীসে বর্ণিত তবারিয়া উপসাগরের (গ্যালিলি সাগর) তীরে অবস্থিত। ফিলিস্তিনে নিযুক্ত উসমানী শাসক জহীর আলউমর যাইদানী ১৭৪৩ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদটিতে এখনো প্রবেশ নিষিদ্ধ।

বন্ধ যাইদানী মসজিদটি বহন করে চলেছে শত বছর ধরে চলা মুসলিম উম্মাহর পরাজয়ের বেদনাবিধুর উপাখ্যান।

পোস্টটি লাইক ও শেয়ার করুন।

একটি মন্তব্য লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *