মুফতী মাহমূদুল আমীন
পঁচিশে সেপ্টেম্বর ২০১২ খ্রি. মঙ্গলবার। সংক্ষিপ্ত একটি সফর শেষে ঢাকা ফিরছিলাম। পদ্মা নদী পার হয়ে আছর নামাযান্তে বাসে উঠলাম। বিকালের আয়েশী সরবরতা ভেঙে আমাদের বাস হু হু করে এগিয়ে চলল। নিমতলা স্টেশন অতিক্রম করার পর হঠাৎ গাড়ির গতি শ্লথ হয়ে গেল। সম্মুখপানে তাকাতেই দেখি সুন্নতী লেবাসধারী হাজার হাজার মানুষ রাস্তার দু-পাশ দিয়ে হেঁটে আসছে। দৃষ্টির শেষ সীমা পর্যন্ত বিস্তৃত এ শুভ্র মিছিল দেখে যাত্রীরা সবাই কৌতূহলী হয়ে উঠল। পরক্ষণে জানতে পারলাম ‘নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র জীবন নিয়ে যে ব্যঙ্গ চলচ্চিত্র ‘ইনোসেন্স অব ইসলাম’ নির্মিত হয়েছে তার প্রতিবাদে ধলেশ্বরী সেতুর দক্ষিণ পাড়ের কুচিয়ামোড়া মাঠে বিশাল সমাবেশ ছিল, সে সমাবেশ থেকে তাঁরা ফিরছেন। সমাবেশে লোকসমাগমের আধিক্য দেখে একজন বাসযাত্রী বলে উঠল, কে বলে ইসলামের পক্ষে লোক নেই?
শুধু মুন্সিগঞ্জেই নয়, সারাদেশে প্রায় প্রতিটি থানা ও জেলায় দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মুসলমানের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এমন শত শত প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। ক্ষোভে উত্তাল হয়েছে সারা বিশ্ব। মূলত আমেরিকার নাগরিক ইয়াহুদী নাকুলা বাসেলি নাকুলা চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করে মুসলমানদের রক্তে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। মুমিনের প্রাণের চেয়েও প্রিয় মহামানবের জীবনচরিতকে ব্যঙ্গ করে সে যেন বারুদের স্তূপে অঙ্গার বর্ষণ করেছে। দেশে দেশে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠেছে ক্ষোভের আগুন। লিবিয়ায় এ আগুনে পুড়ে ভস্ম হয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত সহ চারজন। পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশে শহিদ হয়েছে বহু মুসলমান। বাংলাদেশ সহ অনেক মুসলিম দেশের সরকার এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে ঘোষণা করেছে: মিথ্যার ওপর ভিত্তি করে এভাবে ঘৃণার বীজ বপন করা, সব ধরনের মানবিকতা, আন্তর্জাতিক আইন এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির চরম লঙ্ঘন।
আমি একজন মুসলিম। আমার হৃদয়েও আছে নবীপ্রেম। তাই এই জঘণ্য চলচ্চিত্র আমার হৃদয়কেও রক্তাক্ত করেছে। হৃদয়ের বেদনাগুলো ফোঁটা ফোঁটা অশ্র“ হয়ে গড়িয়ে পড়েছে। গত শুক্রবার আজিমপুর পার্টি হাউজ কলোনি মসজিদে বা‘দ জুমআর হাদীসের মজলিসে তাকিয়ে দেখি বেশ ক‘জন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তাও ফুফিয়ে কাঁদছেন। এ কান্না প্রিয় নবীজীর প্রতি অকৃতিম ভালোবাসার। বিশ্বের লাখো মুসলিমের এ অশ্র“ই একদিন তাগুতী শক্তির পতন ডেকে আনবে ইনশা-আল্লাহ। আমরা এ জঘন্য চলচ্চিত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই জঘন্য চলচ্চিত্রের নির্মাতা ও সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ধৃষ্টতা প্রদর্শনের সাহস না পায়। যদিও ব্যাংক জালিয়াতির মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে নাকুলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু শুধু গ্রেফতারই যথেষ্ট নয়; আমরা চাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি। ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা’র ঠুনকো অজুহাতে এমন জঘন্য অপরাধীকে যদি শাস্তি দেওয়া না হয় তাহলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আবারো ঘটতে পারে, যা হয়ত বিশ্ব শান্তির পথে আরো বড়ো বিপর্যয় ডেকে আনবে।
আসলে হিলারি ক্লিনটন সহ পশ্চিমা বিশ্বের মুখপত্রগুলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতার যে বুলি আউড়াচ্ছে এটা শুধু ইসলাম ও মুসলমানদের কটাক্ষ করার বেলায়। তাদের কোনো ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে এমন ব্যঙ্গ করলে তখন আর এ বুলি শোনা যায় না, বরং এর বিহিতব্যবস্থায় সবাই তৎপর হয়ে ওঠে, যেমনটি প্রকাশিত হয়েছে একটি অনলাইন পত্রিকায়:
কিছুদিন আগে যখন তাদের খ্রিষ্টধর্মীয় গুরু পোপকে নিয়ে তাদেরই স্বজাতীয় একটি ক্লাব ব্যাঙ্গ কার্টুন ছেপেছিল তখন সাথে সাথে তারা সেটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তখন এই অবাধ মতপ্রকাশ ও বাকস্বাধীনতার ধ্বজাধারীরাই সেই লিফলেটকে ধর্মীয় অনুভূতির উপর আক্রমণাত্মক এবং অনৈতিক বলে তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছিল।
খ্রিষ্টধর্মীয় গুরু পোপ ২য় জনপলকে ব্যাঙ্গ করে বছর খানেক আগে পোল্যান্ডের ‘ইপসুইচ’ নামক এলাকার ‘বার্সাক’ নামক একটি বার পোপ ২য় জনপলকে একহাতে মদের বোতল ও অপর হাতে নগ্ন এক যুবতী আকড়ে ধরে রাস্তায় মাতালের মতো হাটছে এমন ভঙ্গিতে উপস্থাপন করে একটি লিফলেট প্রকাশ করেছিল। এটি প্রকাশ হওয়ার পর কয়েকজন খ্রিষ্টান এর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী ও অনৈতিক বলে অভিযোগ করে এটি নিষিদ্ধের আবেদন জানায়। সাথে সাথে কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে নিজ রাষ্ট্রশক্তির মাধ্যমে একে ব্যান্ড করে এবং ভবিষ্যতে এধরনের কোনো কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
কী কঠিন স্ববিরোধিতা! খ্রিষ্টধর্মীয় গুরুর বিপক্ষে কোনো ব্যাঙ্গ লিফলেট প্রচার করতে গেলে তা হয় আক্রমণাত্মক ও অনৈতিক। কিন্তু সারা বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহান ব্যক্তিত্ব, সর্বশেষ পয়গম্বার, প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ব্যাঙ্গ করে যখন কার্টুন আঁকা হয় তখন এটি ধর্মীয় অনুভূতির উপর আক্রমণাত্মক এবং অনৈতিক হয় না বরং এটি হয় তাদের বাকস্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বহিঃপ্রকাশ। আসলে এসবই সম্ভব হয়েছে পাশ্চাত্যের নৈতিক ও আদর্শিক দেওলিয়াত্বের কারণে।
(বি.দ্র. পোপ ২য় জনপলের ঘটনাটি আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে ১লা এপ্রিল, ২০০৯-এর ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকা দেখতে পারেন)।
(‘ষড়যন্ত্রকারীদের কার্টুন, ছবি ও ইন্টারনেটের প্রচারণা: শক্ত পানিশমেন্টই চিরতরে বন্ধ করতে পারে এই ধারা’ www.sonarbangladesh.com)
আপোশে মতপার্থক্য থাকলেও আজ মুসলিম নিধনে গোটা কুফুরীশক্তি একযোগে তৎপর। একটি জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকার চলতি সংখ্যার সম্পাদকীয়তে লিখেছে:
‘এইসব ঘটনা আরো প্রমাণ করে,‘আলকুফরু মিল্লাতুন ওয়াহিদা’-সকল কাফির এক ধর্মের, এক সম্প্রদায়ের। এ কারণেই দেখি, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় খ্রিষ্ট-সমাজে, ইহুদী-সমাজে, নাস্তিক-সমাজে এবং পৌত্তলিক-সমাজে। ইসলাম-বিরোধী সাম্প্রদায়িকতায় এরা সব একজোট। সুতরাং এটাই এখন সত্য যে, ভাষা ও ভূখন্ডের সকল বৈচিত্র্যের মাঝে পৃথিবীতে বাস করে দুটোমাত্র সম্প্রদায় মুসলিম এবং অমুসলিম। তাই আজ বড়ো প্রয়োজন, সকল বিভেদ-বৈচিত্র্য ভুলে ইসলাম ও ইসলামের নবীর মর্যাদার প্রশ্নে সকল মুসলিমের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়ানো এবং সীসাঢালা প্রাচীরের মতো প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
এসব ঘটনা আরো প্রমাণ করে, বর্তমান যুগের উদারতা-অসাম্প্রদায়িকতা এবং মানবাধিকার ও পরমতসহিষ্ণুতার মতো শব্দগুলোর নিজস্ব কোনো অর্থ নেই। এই সকল শব্দ-শর শক্তিমানের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার। এ কারণেই ব্যাপক মুসলিম-নিধন, মুসলিম জাহানের সম্পদ ও আব্র“ লুন্ঠন এবং ইসলাম ও ইসলামের নবীর অবমাননার পরও ওরা উদার, অসাম্প্রদায়িক; সভ্য ও শান্তিপ্রিয়। পক্ষান্তরে প্রাণ ও মাতৃভূমি, সম্পদ ও আব্র“ সব হারিয়েও মুসলিম সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক।’ (‘সম্পাদকীয়’ মাসিক আলকাউসার, অক্টোবর ২০১২ খ্রিষ্টাব্দ, সংখ্যা)।
ইসলাম ও মুসলিম জাতির এ যুগসন্ধিক্ষণে আমাদেরকে পূর্ণ সচেতনার সাথে পা ফেলতে হবে। আমাদের আবেগতাড়িত পদক্ষেপ যেন কুফরীশক্তির স্কিম বাস্তবায়নের সুযোগ সৃষ্টি করে না দেয়। দ্বীনদার সম্প্রদায় এবং সরকারের মাঝে সংঘাত ও গৃহযুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারলেই তো ওরা মহাকামিয়াব’ সালিশি করতে এসে দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। আলেম সমাজকে জনসাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারলেই তো ওরা সফলকাম। তখন মুসলিম বাবা-মায়ের সন্তান হয়েও যুবসমাজ আলেম নিধনে মেতে উঠবে। যার জ্বলন্ত প্রমাণ বুখারা-সমরখন্দের রক্তাক্ত ইতিহাস।
তাই অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ওদের পাতানো ফাঁদে আর পা দেওয়া নয়; চাই দ্বীনের ধারক-বাহকগণের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুচিন্তিত ও সুস্থির পদক্ষেপ। মতভিন্নতার মাঝেও শুধু দ্বীন ঈমানের বুনিয়াদের উপর মুসলিম উম্মাহর অভিভাবক আলেম সমাজকে আজ ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মে দাঁড়াতে হবে। সর্বসাধারণ ও উলামায়ে কেরামের মাঝে গড়ে তুলতে হবে সম্প্রীতির মযবুত সেতুবন্ধ। প্রতিটি মুসলমান যাতে শিরকমুক্ত ঈমান, রিয়ামুক্ত আমল এবং তাকওয়া ত্বহারত দ্বারা আপন জীবনকে সুসজ্জিত করতে পারে সে লক্ষ্যে নববী দরদ ও তড়প নিয়ে তাদের পিছনে মেহনত করতে হবে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা খেলাফতপ্রাপ্তি ও বিজয়ের ওয়াদা রেখেছেন ‘শিরিকমুক্ত ঈমান ও রিয়ামুক্ত আমলের সাথে। কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে: তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ্ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকর্তৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববতীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। তারা আমার এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য। নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।
তোমরা কাফেরদেরকে পৃথিবীতে পরাক্রমশালী মনে করো না। তাদের ঠিকানা অগ্নি। কতই না নিকৃষ্ট এই প্রত্যাবর্তনস্থল। (সূরা নূর:৫৫-৫৭)
সূরা আলে ইমরানে ইরশাদ হচ্ছে: আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দু:খ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে। (সূরা আলে ইমরান:৫৫)
বাতিলের শত নিপীড়ন, শয়তানিয়াতের শত প্রলোভন আর দাজ্জালিয়াতের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মুমিনদেরকে দ্বীন ও ঈমানে পূর্ণ অবিচল থাকতে হবে। শরীয়ত অনুমোদিত পন্থায় বাতিলের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আগুয়ান হতে হবে। তাহলেই নেমে আসবে আসমানী নুসরত। দ্বীনহীন রাজনীতির নোংরা স্টাইল যেন আমাদেরকে নিরপরাধ মানুষের জান-মালের ক্ষতি সাধনে প্ররোচিত না করে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ সরকারের নয়, এ সম্পদ জনগণের। কোনো নির্দিষ্ট সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে এ সম্পদ নষ্ট করা আমাদের জন্য সমীচীন নয়। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবনচরিত নিয়ে ব্যঙ্গ চলচ্চিত্র ও কার্টুন নির্মাণের প্রতিবাদ নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জীবনাদর্শের মধ্যে থেকেই করতে হবে। প্রকৃত অপরাধী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক-এর দাবিতে অবশ্যই সোচ্চার হতে হবে, বন্ধ করতে হবে ইয়াহুদী মালিকানাধীন সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন, বর্জণ করতে হবে তাদের সকল পণ্য। কিন্তু শুধু এতটুকুই যথেষ্ট নয়,বরং আমাদের জীবনকেও তাঁর সুন্নাত দ্বারা সাজাতে হবে এবং ওয়াজ-নসীহত, লিখনী ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নবীজীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবনাদর্শকে ছড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বময়। উন্নত দৃষ্টি, সুউচ্চ চিন্তা-ভাবনা আর হৃদয়ের দহন ও উত্তাপ নিয়ে পূর্ণ দক্ষতার সাথে প্রস্তুত হতে হবে যুগ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়। আর বিগলিত মনে, অশ্র“সিক্ত নয়নে মশগুল হতে হবে একনিষ্ঠ দু’আয়।