আব্দুল হাই, প্রথম বর্ষ
১লা জুন ২০১৩ খ্রি.
পরীক্ষা, ছোট্ট অবয়বের একটি শব্দ। তবে ছোট-বড় সকলের বেশ পরিচিত। এর জন্য সকলেই প্রস্তুতি নেয়। তাকে জয় করতে চায়। সফল হলে আনন্দিত হয়, বিফল হলে দুঃখিত। তাই প্রবাদ রয়েছে- عند الامتحان يكرم الرجل او يهان“পরীক্ষার সময় মানুষ সম্মানিত হয় অথবা অপদস্থ হয়”।
আজ আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হলো। তাই কয়েক দিন যাবত মুতালা‘আর চাপটা খুব বেশী। প্রতিটি কাজ নির্ধারিত সময়ে না করলে তার অশুভ পরিণাম ভোগ করতে হয়। প্রতিনিয়তই আমরা যার সম্মুখীন হচ্ছি।
এই পৃথিবীতেও মহান আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। তিনি পরীক্ষা করতে চান, কে সৎ কাজ করে আর কে অসৎ কাজে লিপ্ত হয়। আর এর ফলাফল যেদিন তিনি ঘোষণা করবেন সেদিন কেউ পৌঁছে যাবে সফলতার স্বর্ণ শিখরে আর কেউ বা নিমজ্জিত হবে পরাজয়ের অতল গহ্বরে।
পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় হল। তাই পরীক্ষার জন্য আদর্শ হলের প্রয়োজন। যেখানে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের কোন সুযোগ থাকবে না। পরীক্ষক এবং পরীক্ষার্থী যেখানে ন্যায়-নিষ্ঠা ও সততার সর্ব্বোচ্চ সীমায় উত্তীর্ণ থাকবে। কিন্তু আমাদের দেশে আজ এমন হল মেলা বড় দায়। পরীক্ষক, পরীক্ষার্থীরা যেন আজ নকলের চরম প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। ফলে দেশে পাশের হার বাড়লেও মিলছে না কাঙ্খিত যোগ্যতার কোন কাজের মানুষ। আর এই অনাকাঙ্খিত শিক্ষাঙ্গন এবং শিক্ষার্থীদের কুপ্রভাব সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে দিবালোকের ন্যয় স্পষ্ট।
তবে এই পৃথিবী যত দিন থাকবেসত্য-ন্যায়ের আলো তত দিন তাকে আলো দিতে থাকবে। আজও এই অন্যায় ও অসত্যের ভীড়ে কিছু কিছুপ্রতিষ্ঠান সত্য-ন্যায়ের দেদীপ্যমান সেই প্রদীপটি আগলে রেখেছে। ইনসাফ ও আমানতদারীরস্ফটিকতুল্য স্বচ্ছ হল তারা কায়েম করে চলছেন। আফসোস! যদি আমার এই সোনার দেশের সকল বিদ্যালয়এমন সত্যের মূর্ত প্রতীক হতো। যদি সকল হল অবৈধ ও অসৎ পন্থামুক্ত হতো, তাহলে এদেশ আরো নিখাদ সোনায় পরিণত হতো। আল্লাহ আমাদেরকে সর্বক্ষেত্রে সত্যনিষ্ঠহওয়ার তাওফীক দান করুন।