সুস্বাস্থ্য আল্লাহর অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি নেয়ামত। কুরআন সুন্নাহে এ সম্বন্ধে অনেক বর্ণনা রয়েছে। স্বাস্থ্য রক্ষায় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজন। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তদানুযায়ী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠা প্রতিটি মানুষের দ্বীনী দায়িত্বও বটে। স্বাস্থ্যের পরিচর্যা করা ও যত্ন নেয়াও একটি ইবাদত। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ে অবহেলা করা বা উদাসীন হওয়া মোটেও কাম্য নয়। মা’হাদুল বুহুসিল ইসলামিয়া কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের যথাযথ শিক্ষাদানের পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্য বিষয়েও সজাগ দৃষ্টি রাখতে চেষ্টা করে। তাই মা’হাদের একাডেমিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বাৎসরিক একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম।
সে ধারাবাহিকতায় আজ ২১ জুন ২০২২, মঙ্গলবার ছিলো মা’হাদের ১৪৪৩-৪৪ হি. মোতাবেক ২০২২-২৩ ঈ. শিক্ষাবর্ষের প্রথম স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম। মা’হাদের সূচনা লগ্ন থেকে যিনি মা’হাদের সাথে নানাভাবে ছায়ার মতো লেগে আছেন সে মহান মা’হাদপ্রাণ ব্যক্তি মুহতারাম আনিসুর রহমান সাহেবের সযত্ন তত্ত্বাবধানে আয়োজিত হলো আজকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম। আজকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয় ছিলো চক্ষু পরীক্ষা। মা’হাদ মিলনায়তনকে চক্ষু চিকিৎসা সেবার উপযোগী করে তোলা হয়।
আপ্যায়ন শেষে সংক্ষিপ্ত দু‘আর মাধ্যমে চক্ষুপরীক্ষার মূল কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। ছাত্ররা টিকেট সিস্টেমের মাধ্যমে চক্ষু পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে। চক্ষু পরীক্ষা কার্যক্রমের আয়োজক হিসেবে ছিলো সুবাতাস ট্রাস্ট, ভিশন কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং বসুন্ধরা আই হসপিটাল এ্যান্ড রিসার্চ ইনসটিটিউট। একশ জন ছাত্র-শিক্ষক এ চক্ষু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। জনাব আনিসুর রহমান সাহেবের সঞ্চালনায় চারজন চক্ষু চিকিৎসক নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর অবধি স্বাস্থ্য পরীক্ষার এ কার্যক্রম চলতে থাকে। শিক্ষার্থীগণ চক্ষুসেবা পেয়ে বেশ পুলকিত অনুভব করে। চিকিৎসকগণও চক্ষুসেবা প্রদান কালে ম’হাদের যাবতীয় বিষয়াদি পর্যবেক্ষণে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। দুপুরের আহার শেষে চিকিৎসক অতিথিদেরকে মা’হাদ প্রকাশনীর প্রকাশিত কিছু বই উপহার স্বরূপ প্রদান করা হয়। মেহমানগণ এক রাশ ভালোবাসা ও ভালোলাগা নিয়ে মা’হাদ অঙ্গন থেকে বিদায় গ্রহণ করেন। আল্লাহ তাঁদের ও মা’হাদের সকল দ্বীনী কার্যক্রমকে কবুল করুন।