ঈমানের অনুভূতি

মুহাম্মাদ ইরফান জিয়া

লোকটা আগে মুসলমান ছিলো। শুধু তাই নয়। ছিলো হাফেয এবং আলেম। এক মসজিদের ইমাম।

একদিন কি হলো- লোকটা উযু ছাড়া নামাযে ইমামতি করলো। এরপর কয়েকদিন কেটে গেলো। মনে মনে সে ভাবলো, উযু ছাড়া তো নামায পড়িয়ে দিলাম। কই, কোনো আযাব তো এলো না।

আল্লাহর আযাব আসে কিনা দেখার জন্যে সে মরিয়া ছিলো। তাই আরেকটু দুঃসাহস দেখিয়ে এবার সে গোসল ফরয অবস্থায় নামায পড়ালো। না, এবারো কোনো আযাব এলো না।

এখন তার দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে গেলো, আসলে আল্লাহ বলতে কেউ নেই। (নাউযুবিল্লাহ!) এই বিশ্বাসের কারণে সে ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করলো।

কিছুদিন পর তার দেখা হলো আরেক আলেমের সাথে। তার সামনে সে জোর গলায় দাবি করলো আল্লাহর অনস্তিত্বের কথা। দলীল হিসেবে পেশ করলো নিজের ঘটনা। বললো, আল্লাহ বলে কিছু থাকলে এতোদিনে আমার ওপর অবশ্যই আযাব আসতো।

সে আলেম মুচকি হেসে বললো, ভাবছো তোমার ওপর কোনো আযাব আসেনি? এ তোমার ভুল ধারণা। আরে, আযাব তো শুরু হয়ে গিয়েছে প্রথম দিন থেকেই।

প্রথম আযাব, উযু ছাড়া নামায পড়ানোর কারণে সব মুসল্লীর গুনাহ তোমার ঘাড়ে চেপেছে।

দ্বিতীয় আযাব, এ গুনাহ থেকে তাওবা তোমার নসীবে জোটেনি।

এরপর ধীরে ধীরে আযাবের পরিমাণ শুধুই বেড়েছে। এই যে তুমি বেঈমান হয়ে গেছো। ঈমানের নূর নিভে গেছে তোমার হৃদয় থেকে; এটাও তো আল্লাহর মস্ত বড় এক আযাব। 

গল্পের তোহফা:

কিন্তু এ আযাব বুঝতে হলেও কিছু অনুভূতি থাকা দরকার। যদি কারো হৃদয় থেকে সে আযাব অনুধাবন করার শক্তিটুকুও হারিয়ে যায় তাহলে তো আর কিছুই করার থাকে না!

পোস্টটি লাইক ও শেয়ার করুন।

একটি মন্তব্য লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *