মিনা পর্বতের কড়চা

মুফতি হাফিজুর রহমান

ভোর ৬.৩১, মঙ্গলবার, ১৩.০৪.১৯, মিনা পর্বত

এখন। পাহাড় চূড়ায় বসে আছি। আমার সামনে মিনার সুশুভ্র প্রান্তর। মাঝে মাঝে পাহাড় গিরির অসংলগ্ন অবস্থান। যেন এক টুকরো অসমতল পাহাড়ী ভূমিতে সাদা রং ঢেলে দেয়া হয়েছে। রংগুলো তরল বেগে এদিক সেদিক গড়িয়ে পড়েছে। গতকাল বিকেলে শয়তান প্রতীকে পাথর মেরে আমাদের তাবু অভিমুখে যাত্রা করি। তাবুতে পৗঁছুতে দুই ঘণ্টার মত সময় ব্যয় হলো। আমি এখান থেকে স্পষ্ট শয়তান প্রতীকত্রয় দেখতে পাচ্ছি। যেন আমার সমুখে মিনা প্রান্তরের সুবিস্তৃত একটি ম্যাপ রেখে দেয়া হয়েছে। সব কিছুই হাতের নাগালে দেখতে পাচ্ছি। ম্যাপ দেখে মনে হচ্ছে আমরা গতকাল খানিকটা পথ ঘুরে এসেছি। ফলে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়েছে। যাবার পথে আমাদের তাবু থেকে সোজা যেতে পারলে বোধ হয় দূরত্ব অনেকটাই কমে আসবে।

হজ্বের পবিত্র এ মৌসুমে কোনো এক পরিপক্ব নাস্তিক মহোদয়কে ধরে এনে যদি মিনা আরাফার কোনো এক প্রান্তে ছেড়ে দেয়া যায় তাহলে নির্ঘাত তার দুটি অবস্থার একটি হবে। হয় ওটা গলাকাটা মুরগীর ন্যায় ডানা ঝাপটে মারা যাবে, না হয় ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে চিরশুদ্ধ হবে। বস্তুত পবিত্র এ আঙ্গিনায় অমুসলিম বিশেষত ইয়াহুদী খ্রীস্টানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তবে বনু উমাইয়া যুগে প্রথম খ্রীষ্টানদের পবিত্র মক্কা নগরীতে প্রবেশপথ উন্মুক্ত হয়। মসজিদ নির্মাণের অযুহাতে উমাইয়া যুগে খ্রিষ্টান প্রকৌশলীরা বিনা বাধায় পবিত্র মক্কা নগরীতে প্রবেশে সক্ষম হয়। এ অবস্থাটি অবশ্য স্থায়ী রূপ পায় নি। তবে অমুসলিমরা ঠিকই যুগে যুগে নানা কৌশলে মক্কা মদীনা ঘুরে গেছে। বাহ্যত মুসলিমের বেশ ধারণ করে হজ্বব্রত পালনের নামে মক্কা মদীনাকে প্রাণ ভরে দেখে গেছে। প্রাচ্যবিদ অমুসলিমদের যে কোনো কৌশলে এখানে আসাটা তো বেশ জরুরী। কারণ তাদের জীবন টার্গেট হলো ইসলামের খুঁত বের করা। এর পেছনে তারা জীবনকে সঁপে দিয়েছে, দিচ্ছে। এ শ্রেণীর অমুসলিমগুলো নানা ছলচাতুরীর সুযোগ নিয়ে এসব পবিত্র স্থান পরিদর্শন করে খুঁত বের করে আনার যথাসাধ্য চেষ্টা করে গেছে।

মিনা অর্থ মিলনমেলা বা রক্ত ঝরাবার জায়গা। মিনা প্রান্তর হজ্ব পুণ্যার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। এবং এখানে একসময় পশু জবাই হতো। এখন জন মানুষ বৃদ্ধির কারণে এখানে পশু জবাইটা সম্ভব হয় না। উপরন্তু এ মিনা প্রান্তরেই ইসমাইল আ. পিতা ইবরাহীম আ. কর্তৃক নিজ দেহের শোণিতধারা বইয়ে দিয়ে চির উৎসর্গিত হবার মহা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এ কারণেই মিনাকে মিনা করে নামকরণ করা হয়েছে।

মিনা প্রান্তরের সীমানা হলো, পশ্চিমে প্রথম শয়তান প্রতীক থেকে শুরু করে পূর্বে মুহাসসার উপত্যাকা পর্যন্ত। উত্তরের কাবিল পর্বত থেকে শুরু করে দক্ষিণে সায়িহ পর্বত পর্যন্ত। মক্কা থেকে মিনায় এলে হাতের বামে যে পর্বতটি চোখে পড়ে সেটাই কাবিল পর্বত। আর মসজিদে খাইফ ঘেষে যে পর্বতটি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সেটা হলো সায়িহ পর্বত। মুহাসসার উপত্যকা হলো কাবাগৃহ ভাংতে আসা হস্তিবাহিনীর চরম পরিণতির জায়গা। মুহাসসার শব্দের অর্থই হলো বিপর্যস্ত হবার জায়গা।

মিনাস্থ শয়তান প্রতীককে জামরাহ বলা হয়। জামরাহ অর্থ পাথর। যেহেতু ইবরাহীম আ. শয়তানকে এ তিনটি জায়গায় পাথর নিক্ষেপ করেছিলেন তাই এ জায়গাগুলোকে জামারা বলা হয়। পাথর নিক্ষেপের প্রেক্ষাপটটি এভাবে তৈরি হয়, যখন ইবরাহীম আ. আপন পুত্রকে জবাই করবার জন্যে মিনাতে নিয়ে আসেন তখন প্রথম জামরাতে শয়তান এসে সন্তানকে জবাই না করার জন্য ইবরাহীম আ.কে প্ররোচিত করতে শুরু করে। তখন ইবরাহীম আ. শয়তানকে সাতটি পাথর নিক্ষেপ করেন। ফলে শয়তান মাটিতে দেবে যায়। ইবরাহীম আ. দ্বিতীয় জামরার জায়গাটিতে এলে শয়তান আবারো প্ররোচিত করে। ইবরাহীম আ. আবারো তাকে সাতটি পাথর নিক্ষেপ করে। ইবরাহীম আ. তৃতীয় জামরার জায়গাটিতে এলে শয়তান তৃতীয় বারের মত প্ররোচিত করার চেষ্টা করে। ইবরাহীম আ. এবারো শয়তানকে সাতটি পাথর নিক্ষেপ করেন। মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ১৭১৩

একটি বর্ণনা থেকে ধারণা পাওয়া যায়, আদম আ. মিনায় আগমন করলে শয়তান প্ররোচিত করার চেষ্টা করে। তখন আদম আ. তাকে সাতটি পাথর নিক্ষেপ করেন। আদম আ. এর অনুসরণে হাজীগণ দশ তারিখে শুধু বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপ করে থাকেন। আর পরবর্তী দিনগুলোতে ইবরাহীম আ. এর অনুসরণে ত্রিজামারায় পাথর নিক্ষেপ করে থাকেন।
বড় পাথর নিক্ষেপের জায়গাটিকে জামরাতুল আকাবাও বলা হয়। কারণ আকাবা অর্থ পাহাড়ের ঢাল বা গিরিপথ। বড় জামারার জায়গাটি মূলত একটি পাহড়ের নিম্নাংশ ছিলো। এক সময় এখানে পাহাড় ছিলো। পাহাড়ের ঢালুতেই এ জামারাটির অবস্থান ছিলো। তখন হাজীগণ পাহাড়ে চড়ে এ জামারায় পাথর নিক্ষেপ করতেন।

তাবুর নগরী মিনা এখন হাজী ধারণ ক্ষমতার বাইরে। মিনা এখন মুযদালিফায় ঢুকে পড়েছে। মুযদালিফার বেশ কিছু জায়গা এখন বিধানগত মিনায় রূপ নিয়েছে। বস্তুত মিনা মুযদালিফার অবস্থান স্বতন্ত্র দুটি করণীয়। হাজীসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এ রীতি ঠিক রাখা যাচ্ছে না। আমি যেখানে বসে আছি এটা বিধানগত মিনার অন্তর্গত। বস্তুত এটা মুযদালিফার অন্তর্গত একটি পাহাড়। মূল মিনায় আমাদের জায়গা হয় নি। আমাদের তাবুটা মুযদালিফায় অবস্থিত। ইসলামিক আইনবিদগণ জায়গা সংকুলান জনিত সমস্যার কারণে সমন্বিত এ অবস্থানকে বিধানিক বলেছেন। দু একটি অবিশ্লেষিত বর্ণনা থেকে এ বিধানের সমর্থন পাওয়া যায়। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, মিনা প্রান্তর তার অধিবাসীদের জন্য বিস্তৃত ও পরিবর্ধিত হবে। যেমন গর্ভাশয় গর্ভসন্তানের জন্য ধারণক্ষমতাসম্পন্ন হয়। আখবারে মাক্কাহ লিলফাকিহী, আসার ২৫৫২

মিনা প্রান্তরের জায়গা বর্ধন ও বিস্তৃতিতে অবশ্য আপাতত কোনো বসতি উচ্ছেদ বা ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন পড়বে না। কারণ এসব প্রান্তে স্থায়ী জনবাস বা বসতি স্থাপন নিষিদ্ধ। একটি বর্ণনা থেকে ধারণা পাওয়া যায়, আয়িশা রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, আমরা কি আপনার জন্য মিনাতে গৃহ নির্মাণ করে দেবো না? যাতে আপনি সূর্যের তাপ থেকে নিরাপদ থেকে ছায়া গ্রহণ করতে পারেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মিনায় যে আগে এসে জায়গা নিবে সেটা তার জায়গা হয়ে যাবে। মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৫৫৪১
বাইতুল্লাহ প্রাঙ্গন বিস্তৃত করতে গিয়ে উমর রা. প্রথমে কিছুটা বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। বাইতুল্লাহ প্রাঙ্গন বিস্তৃত করতে এলে বাইতুল্লাহ ঘিরে বসবাসকারী অধিবাসীরা বেঁকে বসে। তারা বস্তুচ্যুত হতে অস্বীকৃতি জানায়। তখন উমর রা. তাদেরকে কঠোর ভাষায় প্রশ্ন করে বলেন, তোমরা বাইতুল্লাহ চত্তরে এসে বসতি স্থাপন করেছো নাকি বাইতুল্লাহ তোমাদের গৃহ চত্তরে এসে জুড়ে বসেছে? কঠোর এ প্রশ্নে তারা বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র চলে যায়।

মুযদালিফা শব্দের অর্থ নিকটবর্তী বা নিকটবর্তী হবার স্থান। এখানে এসে যেহেতু মানুষ আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করে তাই একে মুযদালিফা বলা হয়। মুযদালিফাকে জমাও বলা হয়। একটি অবিশ্লেষিত বর্ণনা থেকে অনুমান করা যায়, আদম আ. শ্রীলঙ্কায় অবতরণ করেন আর হাওয়া আ. জিদ্দাতে অবতরণ করেন। দুজনে মুযদালিফায় এসে মিলিত হন। এ কারণে মুযদালিফাকে জমাও বলা হয়। কারণ আরবী ভাষায় জমা অর্থ একত্রিত হওয়া।

যেখান থেকে মুহাসসার উপত্যকার পরিসমাপ্তি সেখান থেকে মুযদালিফা প্রান্তের সূচনা। মা’যিমান অবধি মুযদালিফা প্রান্তরের শেষ সীমানা। মা’যিম অর্থ দুটি পর্বতের মধ্যবর্তী সংকীর্ণ পথ। আরাফার সূচনাস্থ পর্বত ও মুযদালিফার শেষ সীমানায় অবস্থিত পর্বত- এ দুটি পর্বতকে মা’যিমান বলা হয়। সুতরাং মুযদালিফার দৈর্ঘ সীমানা হলো পশ্চিমে মুহাসসার উপত্যকা আর পূর্বে মা’যিমান।
মুযদালিফার প্রস্থ সীমানা হলো, উত্তরে জাবালে মুযদালিফা। একে সাবীরুন নিস’ বলা হয়। একে আহদাবও বলা হয়।, দক্ষিণে জাবালে যাতুসসালীম ও জাবালে মুরাইখাত। এ দুটি পর্বতই হলো মুযদালিফার প্রস্থ সীমানা।

আলমাশআরুল হারাম। মাশআর অর্থ নিদর্শন। হারাম অর্থ নিষিদ্ধ বা পবিত্র। পরিভাষায় হারাম অর্থ এমন পবিত্র জায়গা যেখানে যাবতীয় অনাচারসহ সুনির্দিষ্ট কিছু করা নিষিদ্ধ। আলমাশআরুল হারাম যুগল শব্দটি হাদীসে এসেছে। মাসআরে হারাম দ্বারা কখনো মুযদালিফার ওই জায়গাটিকে নির্দেশ করা হয় যেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবস্থান করেছিলেন। সেটা মূলত একটি পর্বত। সেখানে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছে। কখনো মাশআরে হারাম বলতে পুরো মুযদালিফা প্রান্তরকে বুঝানো হয়। কারণ পূর্ণ মুযদালিফাই হারামের অন্তর্গত। এটাকে মাশআরে হারাম বলার কারণ হলো পাশেই মাশআরে হালাল বিদ্যমান। আর তা হলো আরাফা প্রান্তর। অর্থাৎ আরাফা প্রান্তর মাশআর বা বিশেষ নিদর্শন হলেও তা হারামের অন্তর্গত নয়। মিনাকে মাশআরে হারাম হিসেবে নামকরণ করা হয় নি। কারণ এখানে স্বতন্ত্রভাবে আবশ্যকীয় পর্যায়ের অবস্থান নেই।

আরাফাহ এবং আরাফাত উভয়টিই শুদ্ধ। আরাফাহ একবচন। আরাফাত বহুবচন। আরাফাহ হাদীসে এসেছে। আরাফাত কুরআনে এসেছে। আরাফাহ শব্দের অর্থ পরিচিতি, পরিচিত হওয়া। জিবরীল আ. ইবরাহীম আ.কে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হজ্বের জায়গাগুলো দেখিয়ে আরাফা প্রান্তরে এসে বললেন, এবার চিনতে পেরেছেন? তখন ইবরাহীম আ. বললেন, হ্যা, চিনতে পেরেছি। এখান থেকেই এ প্রান্তরের নাম আরাফা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। অবিশ্লেষিত অন্য একটি বর্ণনা মতে আদম আ. এবং হাওয়া আ. পৃথিবীর দু প্রান্তে অবতরণ করার পর আরাফা প্রান্তে এসে পরস্পরের সাথে পরিচিত হয়েছিলেন। এ কারণে আরাফা প্রান্তরকে আরাফা হিসেবে নামকরণ করা হয়।

আরাফা প্রান্তরের সীমানা হলো- পূর্ব দিক থেকে সেই সব বেষ্টনকারী পাহাড় যেগুলো আরাফা প্রান্তর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ; পশ্চিম দিক থেকে ‘উরানা’ উপত্যকা; উত্তর দিক থেকে ‘ওসিক’ উপত্যকার যে অংশ উরানা উপত্যকার সাথে মিলিত হয়েছে এবং দক্ষিণ দিক থেকে মসজিদে নামিরা থেকে দক্ষিণ দিকে প্রায় দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত।

হজ্বের মূল কার্যক্রম পালনে আমাদের কাফেলায় একটি পদাতিক বাহিনী তৈরি হয়েছিলো। এর রাফ-খসড়া বাংলাদেশ থেকেই প্রস্তুত হয়েছিলো। পদাতিক এ বাহিনীতে ছিলেন আশরাফ ভাই, আরিফ ভাই, উসামা ভাই ও জাহাঙ্গীর ভাই। আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। কিন্তু আম্মা সাথে থাকায় তাতে যুক্ত হতে পারি নি। এ না পারার জন্য খানিকটা আক্ষেপও ছিলো। এ বাহিনীর পবিত্র কর্ম ছিলো পদযুগলে হজ্বের কার্যক্রম সম্পন্ন করা। সাথে হজ্বের সবগুলো সুন্নাহকে পালন করা। ঠিক যেভাবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছিলেন সেভাবে করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা। বর্তমানে হজ্ব পালনে মক্কা, মিনা, মুযদালিফা ও আরাফায় যাতায়াতে যানবাহনের ব্যবস্থা রয়েছে। পবিত্র এ মিছিলটির প্রধানতম পদক্ষেপ ছিলো যানবাহন ব্যবস্থাকে এড়িয়ে চলা। প্রায় সবটাতেই তাঁরা সফল হয়েছেন। তবে ষোলোকলায় পূর্ণতা দিয়েছেন ভাগ্যবান আরিফ ভাই।

গত জুমা আমাদের এ মিনাতেই কেটেছে। বয়স হওয়ার পর জীবনে এই প্রথম জুমা পড়া হলো না। শরয়ী পর্যটক হলে জুমার ছাড়পত্র আছে। উপরন্তু তাবুতে ব্যবস্থাপনাও ছিলো না। ঈদের নামাজও এই প্রথম পড়া হলো না। হজ্বব্রতে যে পরিমাণ কায়িক শ্রম দিতে হয় তাতে এ জাতীয় ছাড়পত্র সোনায় সোহাগা। নতুবা বড় কষ্ট হয়ে যেত। ঈদের দিন দুপুরে হোটেলে খাবার দেয়া হয় নি। গ্রামীণ বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য চিড়াগুড় দিয়ে ক্ষুধার যন্ত্রণা মিটাতে হয়েছে। মানুষ কত অসহায়। যাক, সবই তো প্রভুতুষ্টির জন্য। সবটুকু সান্ত্বনা ও তৃপ্তি তো এখানেই। এ তৃপ্তি না হলে তো ডানা ঝাপটে মরে যেত প্রভুভক্ত মানুষগুলো।

পাহাড় চূড়া বেয়ে সূর্যটা উপরে উঠে গেছে। আমাদের দেশের মতো এখানে রোদেলা বিহান নেই। সূর্য উঠে গেলে তার অগ্নিগর্ভ হতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। তাই এখন চূড়া থেকে নেমে যাওয়াটাই নিরাপদ।
সকাল 6.55

পোস্টটি লাইক ও শেয়ার করুন।

একটি মন্তব্য লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *