বিদ‘আতের প্রকারভেদ

প্রশ্ন : বিদ‘আতের কোনো প্রকার আছে কি? থাকলে তা কী কী?

উত্তর : মূলত শরীয়তের মাঝে নতুন কোনো বিষয় সংযোজনকে বিদ‘আত বলা হয়। শরঈ দৃষ্টিতে সমস্ত প্রকৃত বিদ‘আতই বিদ‘আতে সাইয়্যিয়াহ। তবে শাব্দিক অর্থগত দিক দিয়ে বিদ‘আত দুই প্রকার। যথা, (১) বিদ‘আতে হাসানা ও (২) বিদ‘আতে সাইয়্যিয়াহ।

বিদ‘আতে সাইয়্যিয়াহ হলো, প্রত্যেক ঐ কাজ যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানাসহ খাইরুল কুরূনে এর কোনো অস্তিত্ব ছিল না। পরবর্তীতে মনগড়াভাবে শরীয়তে সংযোজন করা হয়েছে। এ ধরনের সমস্ত বিদ‘আত বিদ‘আতে সাইয়্যিয়াহ, যা প্রত্যাখ্যাত।

আর বিদ‘আতে হাসানা হলো, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরে খাইরুল কুরূনের মাধ্যমে দীনের সহায়ক হিসেবে সংযোজিত কোনো কাজ। মূলত ইহা বিদ‘আত নয়। এটাকে বিদ‘আতে লুগাবী (শাব্দিক অর্থে বিদ‘আত) বলা যায়। অতএব পারিভাষিক সংজ্ঞা বিবেচনায় বিদ‘আতের কোনো প্রকারভেদ নেই।

সূত্র : সহীহ মুসলিম; হাদীস ৬৯, সহীহ বুখারী; হাদীস ২৬৯৭, রদ্দুল মুহতার ২/২৯৯, ইমদাদুল ফাতাওয়া ৫/২৮৫, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ৫/২১৪।

পোস্টটি লাইক ও শেয়ার করুন।

একটি মন্তব্য লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *