আযানের সুন্নত

প্রশ্ন : আযানের ক্ষেত্রে কি কি বিষয় সুন্নত? জানতে আগ্রহী।

উত্তর : আযানের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় সুন্নত তা নিম্নে প্রদত্ত হলো।

১. পূত পবিত্র অবস্থায় থেকে আযান দেয়া।

২. কেবলামুখী হয়ে আযান দেয়া।

৩. উভয় পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁকা রেখে পদযুগলকে কেবলামুখী করে রাখা।

৪. (ক) প্রথমে দুই তাকবীর একত্রে এক শ্বাসে বলে থেমে যাওয়া।

(খ) এরপর দুই তাকবীর একত্রে এক শ্বাসে বলে থেমে যাওয়া।

(গ) এরপর মাঝের বাক্যগুলোর মধ্য হতে এক একটি বাক্য এক শ্বাসে বলা এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে সাকিন করা ও থেমে যাওয়া।

(ঘ) শেষের দুই তাকবীর একত্রে এক শ্বাসে বলে থেমে যাওয়া এবং উভয় তাকবীরের শেষে সাকিন করা।

(ঙ) সর্বশেষে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে আযান শেষ করা।

৫. ডান দিকে চেহারা ফিরানোর পর ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ বলা এবং বাম দিকে চেহারা ফেরানোর পর ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ বলা। তবে বুক ও পদযুগল কেবলার দিকে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে।

৬. মহল্লার প্রথম আযান শ্রবণের পর থেকে আযান শেষ হওয়া পর্যন্ত শ্রোতাগণের তিলাওয়াত, জিকির, তাসবীহ ইত্যাদি বন্ধ রাখা।

৭. আযানের জওয়াব দেওয়া। অর্থাৎ মুয়াজ্জিনের আযানের বাক্য উচ্চারণের ফাঁকে ফাঁকে শ্রোতাগণের হুবহু আযানের বাক্যগুলো পাঠ করা। তবে ‘হাইয়া আলাস সালাহ’ এবং ‘হাইয়া আলাল ফালাহ’ এর জবাবে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ পাঠ করা। আর ফজরের আযানে ‘আসসালাতু খইরুম মিনান নাউম’ এর জবাবে ‘সদাকতা ওয়া বাররতা’ পাঠ করা।

৮. এরপর নিন্মোক্ত দু‘আটি পাঠ করা-

اللهم رب هذه الدعوة التامة والصلوة القائمة آت محمدا الوصيلة والفضيلة وابعثه مقاما محمودا الذى وعدته انك لا تخلف الميعاد

– সহীহ বুখারী, হাদীস ৬১১-৬১৩,৬ ১৪,৬৩৪, ৪৭১৯, সহীহ মুসলিম হাদীস ৩৮৫, সুনানে নাসাঈ, হাদীস ৬৫২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫০৭, সুনানে বাইহাকী হাদীস ১৯৩৩, মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস ১৭৯৯, ১৮০২, ১৮৪৯, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস ২৩৭৭।

পোস্টটি লাইক ও শেয়ার করুন।

একটি মন্তব্য লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *