সালীম মুহাম্মাদ আবদ
কারগুজারী একটি ফারসী শব্দ। দাওয়াত ও তাবলীগের কাজের সাথে যারা যুক্ত তাদের কাছে শব্দটি অতি পরিচিত। প্রতিদিনের মাশোয়ারা তথা পরামর্শ সভায় শব্দটি ব্যবহার হয়। কাউকে কোন কাজের দায়িত্ব দেয়া হলে বা কাউকে কোন কাজে পাঠানো হলে; সে কী করে এলো বা কী দেখে এলো তার বিবরণ সবার সামনে পেশ করার নামই কারগুজারী।
যেভাবে শুরু
তখন ১৯৯৮ সাল। আমি নিজের ব্যবসার কাজে খুবই ব্যস্ত। এরমধ্যেই হীরা বিস্কুট এর চেয়ারম্যান হাফেজ আকবর ভাই অনুরোধ করলেন তাবলীগে বের হওয়ার জন্য। তার কথামতো তিন দিনের এক ব্যবসায়ী জামাতে সময় দিয়ে তাবলীগের কাজ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাই। এরপর কয়েকবার তিনদিন করে সময় দিয়েছি।
২০০৯ সালে ব্যবসা থেকে এক প্রকার অবসর নেয়ার পর ঈশ্বরদীতে এক চিল্লা দেয়ার মধ্যদিয়ে একাজে আরো কিছু সময় দিতে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ ই আগস্ট ২০১৪ সালে দিল্লী নিযামুদ্দীন মারকাজ থেকে ভারতের মধ্য প্রদেশের খরগন জেলায় ২০ দিন ও ভোপাল শহরে ২০ দিন মোট এক চিল্লা সময় দেয়া হয়।
নিযামুদ্দীন মারকাজ তখন পরিপূর্ণ। সারা বিশ্বের লোকজন তো আছেই। সেইসাথে চলছিলো মিয়ানমারের জোড়। মাওলানা সা’দ সাহেব তখন বয়ান করতেন। বয়ান শেষে কিছু যুবক কঠোর নিরাপত্তার সাথে তার রুমে নিয়ে যেত। তারপর শুধু তিন চিল্লার সাথীদেরকে তার হাতে বাইয়াত হওয়ার জন্য তার রুমে নিয়ে যাওয়া হতো।
আমাদের বাংলাদেশের এক আলেম যিনি ২ মাসের তরতীবে সেখানে ছিলেন, তিনি বাইয়াত হয়ে আসার পর জানলাম, তিনি শুধু এ দুইটি উপদেশ দিয়েছেন- তাবলীগের সাথে আমৃত্যু যুক্ত থাকবে আর নারী ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। আমি জানতে চাইলাম এ রেওয়াজ তো আগে শুনিনি। মনে মনে খটকা লাগলো কিন্তু বুঝতে পারলাম না।
তারপর ২০১৮ সালে মাওলানা সা’দ সাহেবকে টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে প্রবেশ করতে না দেয়ার পর সাধারণ জনতার মত আমিও টের পেতে থাকি ভিতরে কী হচ্ছে? পত্র পত্রিকায় সংবাদ আসতে থাকে, কী হচ্ছে নিযামুদ্দীন আর কাকরাইলে। নীরব আন্দোলন সরব হয়ে উঠলো। সংবাদ সম্মেলন হলো। প্রথমবারের মত দেয়ালে পোষ্টার লাগলো। পুস্তিকা প্রকাশ হলো। টঙ্গী ইজতেমার মাঠে জোড়ের আগে ১লা ডিসেম্বর ‘১৮ সা’দ পন্থী কর্তৃক টঙ্গী ময়দান দখল নিতে গিয়ে দুইজন সাথী নিহত হলেন, আহত হলো শত শত মাদরাসার ছোট বড় ছাত্র।
দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ফতওয়া প্রকাশ পাওয়ার পর বাংলাদেশের বেশীরভাগ আলেম মাওলানা সা’দ সাহেবের বিপক্ষে অবস্থান নেন। আলেম ওলামাগণ কাকরাইলের মাওলানা যোবায়ের ও মাওলানা রবিউল হক সাহেবের সাথে এক হয়ে সারা দেশে সভা সমাবেশ করেন এবং ১৫, ১৬ ফেব্রয়ারী ১৯ টঙ্গীতে সরকারের অনুমতিক্রমে বিশ্বে ইজতেমা অনুষ্টিত হয়। আমিও বরাবরের মত যোগ দিয়েছি কিন্তু এত লোক সমাগম আগে কখনো চোখে পড়েনি।
ইজতেমা থেকে আমার এলাকার সাত জন সাথী সহ ভারতে এক চিল্লার জন্য ২০ ফেব্রুয়ারী ১৯ কলকাতা হয়ে মুম্বাই এর নেরুল মারকাজ গিয়েছি। এই সফরে কী দেখলাম, কী শুনলাম তা নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন তথা কারগুজারী ।
নেরুল মারকাজে
নেরুল ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাই রেল ষ্টেশন থেকে ৩৫ কি.মি. দূরে নবী মুম্বাইতে অবস্থিত। আমরা কলকাতা থেকে প্রায় ২০০০ কি. মি. ৩৬ ঘন্টা টানা রেলে ভ্রমণ করে ক্লান্ত হয়ে রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে মারকাজে গিয়ে দেখি, নীচ তলায় দেশী বিদেশী সাথীতে পরিপূর্ণ। অভ্যর্থনার পর আমাদের খাওয়ার ব্যবস্থা হলো। দিনের আমল ও রাতের খাওয়ার পর দেখা গেলো, আগে থেকে উপস্থিত সাথীরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছেন। আমাদেরকে এক সাথে শোয়ার ব্যবস্থা করা গেলো না। যেখানে ফাঁকা পেলাম বিছানা করলাম, সকালে কিছু জামাত চলে গেলে হয়তো এক সাথে থাকার ব্যবস্থা করা যাবে।
ফজরের নামাযের পর বয়ান চলছে। পরিচিত কন্ঠ, পাশের সাথীর কাছ থেকে জানলাম তিনি মাওলানা ইবরাহীম দৌলা। প্রায় দুই ঘন্টা বয়ানের পর যাওয়ার পথে ৮৫ উর্ধ্ব অতি সাধারণ, অথচ দাওয়াতের তাবলীগের এত বড় একজন দায়ীর সাথে মোসাফাহা করলাম। সকালের নাস্তার পর দেখলাম, কিছু জামাত চলে যাচ্ছে। আবার নতুন জামাত আসছে। বেশ কিছু বিদেশী জামাতও আছে। মসজিদটি অনেক আগেই সুন্দর ডিজাইনে ৩ তলা পর্যন্ত তৈরী। দেড় বছর আগে মসজিদের সাথে লাগোয়া একটা পাঁচতলা ভবন তৈরী করে মাওলানা ওসমান বলোযানকে জিম্মাদার বানানোর মাধ্যমে মারকাজের কার্যত্রুম শুরু হওয়ার পর থেকে জমজমাট অবস্থা। মহারাষ্ট্রের প্রতিটি জেলা এক মাস করে এ মারকাজের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা থেকে ৬০ থেকে ৭০ জন সাথী খেদমতে আসেন। সাথীদের খাওয়া সহ সমুদয় দায়িত্ব তাদের। কর্মচারীর বেতন, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিলও তারা পরিশোধ করেন। ৬ মাস চলার পর নেরুল মারকাজ থেকে কিছু সাথী ইবরাহীম দৌলা সাহেবের সাথে দেখা করেন।
মাওলানা ইবরাহীম দৌলা সাহেব নিযামুদ্দীন মারকাজ থেকে স্বেচ্ছায় বের হয়ে আসার পর নিজ বাড়ীতেই অবস্থান করছিলেন। মাওলানা কয়েকদিন বাড়ীতে থাকার পর গুজরাটে একটি মাদরাসায় বুখারী শরীফ পড়ানোর কাজ নেন। জীবনের প্রায় ৫৫ বছর তিনি সময় দিয়েছেন হযরতজী ইলিয়াছ (রহ.) এর রেখে যাওয়া কাজে। সাথীদের বিশেষ অনুরোধে তিনি সেই দাওয়াতের কাজে যোগ না দিয়ে পারেননি।
৪ তলায় মাওলানা সাহেবের জন্য একটা আধুনিক সুযোগ সুবিধাযুক্ত কক্ষ বরাদ্ধ করা হয়েছে। আমরা চার সাথী (মুফতী মাসুম বিল্লাহ , আব্দুল হামীদ, ফরহাদ ও ফজলুল হক সেলিম) মাওলানা সাহেবের সাথে দেখা করি। নিজ হাতে তিনি আমাদের মেহমানদারী করান। আমরা দোয়া চেয়ে বিদায় নিলাম। আমাদের চিল্লা শেষে তার সাথে আর দেখা হবে না। কারণ, আগামী ৬ মার্চ থেকে তার সফর শুরু হবে।
মারকাজ মসজিদের সামনে দুইটি চেয়ার থাকে। যে গুলোতে সাধারণত অভ্যর্থনা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সাথীরা বসেন। দেখলাম এক চেয়ারে একজন বিদেশী বসে আছেন। তার পাশের খালি চেয়ারটাতে বসে আমি পরিচিত হলাম। জন্ম সূত্রে মরক্কোর নাগরিক মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ ইদ্রিস। ২৫ বছর ধরে কানাডাতে গোশতের ব্যবসা করেন। মাজহাবের দিক থেকে তিনি মালেকী। আরবী আর ইংরেজী ছাড়া অন্য ভাষা জানেন না। ছয় দেশ থেকে ১৫ জনের জামাতের সাথে ভারতে চিল্লা শেষ করেছেন । রাতের ফ্লাইটে কানাডা ফিরবেন।
ওনাদের পাঠানো হয়েছিলে মহিশুরে। মোবাইল থেকে টিপু সুলতানের কবর, সেখানকার ঐতিহাসিক স্থাপনার ছবি, একটি খুব সুন্দর মসজিদ যেখানে তিনি আযানও দিয়েছেন- তার ভিডিও আমাকে আগ্রহ করে দেখালেন। খুব ভেবে চিন্তে বিনয়ের সাথে প্রশ্ন করলাম বর্তমান সময়ে তাবলীগে বিরোধ চলছে আপনি তা জানেন?
উত্তরে তিনি মোবাইল সেট থেকে আরবীতে লেখা দেখিয়ে জানালেন, বাংলাদেশের মুফতী আব্দুল মালেক সাহেবের এ লেখা পড়ে তিনি বুঝতে পেরেছেন , মাওলানা সা’দ সাহেব ভুলের মধ্যে আছেন দ্বীন শিখতে হলে আলেম ওলামাদের বিকল্প নাই।
নেরুল থেকে পলভল
ঢাকা থেকে আসা আরো তিন জন সাথী সহ ভারতের ঝড়খন্ডের এক পুরাতন সাথীকে আমাদের জিম্মাদার করে নেরুল থেকে ৩৭ কি. মি. দূরে পলভল শহরে পাঠানো হয়। কয়েকদিন পর ইংল্যান্ড থেকে আসা আরো দুইজন এবং আরব থেকে আসা একজন আমাদের সাথে যোগ হন। মুম্বাইয়ের এই এলাকায় পশ্চিম বাংলার অনেকেই আছেন। আমাদের দেশের বেশ কিছু লোক পেলাম সেখানে শ্রমিকের কাজ করে বহু বছর থেকে। স্থানীয় সাথী ইকবাল এবং আহমাদ লাট সাহেবের ভাগিনা মাওলানা সালিম এবং আমাদের জিম্মাদার জনাব জামালুদ্দীনের (৭২) কাছ থেকে নিযামুদ্দীনে কী হয়েছিল তার কিছু ধারণা পাই।
এরপর নেরুল ফিরে এসে মারকাজের জিম্মাদার ওসমান ভাই এর সাথে কথা হয়েছে অনেক বার। বারবার কথা হয় প্র্রফেসর দস্তগীর আলম সাহেবের সাথে যিনি ১৯৭১ সাল থেকে বছরে একমাস নিযামুদ্দীনে থাকতেন। ১৯৯০ সালে দক্ষিন আফ্রিকায় মসজিদভিত্তিক জামাত বানিয়েছেন।
তাদের কাছ থেকে শুনলাম, কিভাবে এক এক জন মুরুব্বী মাওলানা সা’দ সাহেবের আচরণে মৌখিক ও চিঠির মাধ্যমে নিজের বক্তব্য জানিয়ে নিযামুদ্দীন ছেড়ে চলে আসেন।
নিযামুদ্দীন ছেড়ে আসা মুরব্বী ও সাথীবৃন্দ
প্রথম যাঁরা বের হয়ে আসেন তাঁদের মধ্যে সাঈদ ভাই ভোপালী, মাওলানা যুবাইরুল হাসান অন্যতম এবং ইতোমধ্যে দুইজন মৃত্যু বরণ করেছেন। বেরিয়ে আসেন প্রফেসর নাদের আলী, যিনি চাকরী থেকে অবসরের পর কুরআনের হাফেজ হন। প্রফেসর মুহসীন যিনি প্রতিদিনের মাশওয়ারার কাতেব (লেখক) ছিলেন, নিযামুদ্দীন মারকাজের ৭ নং কক্ষে থাকতেন, তারতীব বানাতেন, প্রথম কয়েকজনের মধ্যে তিনিও চলে আসেন। ইকবাল নায়ের তিনিও মুকীম ছিলেন এবং বছরের পর বছর মাশওরার কাতেব ছিলেন। মাওলানা ইয়াকুব সাহেব চাহারামপুরী, যিনি ইউসুফ সাহেবের সাথে ১৫ বছর, ইনআমুল হাসান সাহেবের সাথে পুরোসময় কাজ করেন। তিনি নিযামুদ্দীন মাদরাসার শিক্ষকও ছিলেন। মাওলানা সা’দ ও তার পিতা মরহুম মাওলানা হারুন সাহেব দুজনই যার ছাত্র। এরাও বের হয়ে আসেন।
মাওলানা ওমর পালনপুরী সাহেবের একটি ঘটনা। যিনি ৩২ বছর নিযামুদ্দীনে বয়ান করেছেন। একদিন মারকাজের কয়েকজন সাথী সহ গাড়ীতে ইজতেমায় যাওয়ার পথে মাওলানা সা’দ সাহেব পথে তার গাড়ী থামিয়ে, তাকে গাড়ী থেকে নেমে বাসে করে যেতে বলেন। গাড়ীর চালক মাওলানা সা’দ সাহেবকে বলেন, আমি তাঁকে ৭১ সাল থেকে গাড়ীতে করে ইজতেমায় আনা-নেয়া করি। মাওলানা সা’দ সাহেব বলেন আমি আমির যা বলেছি তাই করতে হবে। মাওলানা গাড়ী ছেড়ে দিয়ে বাসে করেই ইজতেমায় যান।
বের হয়ে আসেন চৌধুরী আমানুল্লাহ সাহেব। যিনি ৩০ বছর নিযামুদ্দীনে মুকীম ছিলেন। মাওলানা সা’দ সাহেবকে নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছেন। যার কিছু বাংলা অনুবাদও হয়েছে।
চলে যান ইঞ্জিনিয়ার শামীম। প্রতি বছর ৬ মাস যিনি নিযামুদ্দীনে থাকতেন। প্রফেসর ছানাউল্লাহ খান। যিনি ফাতেহে ফ্রান্স” উপাধি পেয়েছেন। তার প্রচেষ্টায় ফ্রান্সে প্রথম মসজিদ হয়। যার মেহনতের ফলে ফ্রান্সে এখন প্রায় ২,৫০০ মসজিদ হয়েছে।
ডাঃ খালেদ সিদ্দীকি ৬ মাস নিযামুদ্দীনে থাকতেন। ১০ বছর মাওলানা ইউসুফ কান্ধলভী সাহেবের সাথে ও মাওলানা ইনআমুল হাসান সাহেবের সময় কাজ করেছেন। বিদেশে জামাত পাঠানো ছিল তাঁর কাজ। তাকে চিফ সেত্রেুটারী বলা হত। ২০১৪ সালে নিযামুদ্দীন ছাড়েন।
মারকাজ ছাড়েন আহমেদ কাসু। বছরে ৮ মাস যিনি মারকাজে থাকতেন। ১৮ বছর মাওলানা সাদের সাথে বিকালে চা খেয়েছেন। ডাঃ দস্তগীর আলম। ৭০ সাল থেকে এক মাস করে নিযামুদ্দীনে থাকতেন। ৯২ সালে দক্ষিন আফ্রিকায় মসজিদ ভিত্তিক জামাত তিনি করেন। আহমেদ পাটেল, বছরে ৬ মাস নিযামুদ্দীনে থাকতেন।
নেরুল মারকাজের জিম্মাদার মাওলানা আহমাদ লাট সাহেব। বড় মাপের আলেম। ১৯৫৮ থেকে নিযামুদ্দীনের সাথে ছিলেন। ২০১৪ সালের ১৩ রমজান শেষ রাতে মারকাজ ছাড়তে বাধ্য হন। তাঁর ভাইসহ পরিবারের সকলেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন। সে সুবাদে তিনিও সে দেশের গ্রীনকার্ড হোল্ডার। নেরুল মারকাজে মাওলানা ইবরাহীম দৌলা সাহেবের পাশের কক্ষটি তাঁর জন্য বরাদ্ধ করা আছে। তিনি ইটালী সফরে থাকায় দেখা হল না।
নিযামুদ্দীন ছেড়ে আসা সাথীদের তালিকা এখানেই শেষ নয়। এ তালিকা অনেক দীর্ঘ যা লিখে শেষ করা কষ্টসাধ্য।
শেষকথা
আমার করুণা হয় সেইসব সাথীর জন্য, যারা নিজেদের জানমাল খরচ করে দ্বীন শিখতে গিয়ে আজ নিজেদের “ইতায়াতে নিযামুদ্দীন” বলে বা কখনো মূলধারার তাবলিগী বলে দাবী করছেন। এক চিল্লা বা চার মাস সময় লাগিয়ে যারা মনে করেন দ্বীন বুঝে গেছেন, জেনে গেছেন। তাবলীগ চিনে ফেলেছেন। মাওলানা সা’দ সাহেবকেও চিনে ফেলেছেন।
আমার এসব সাথীর বিভ্রান্তির মধ্যে আবেগ আছে। কিন্তু দ্বীন কোন আবেগের বিষয় নয়। দ্বীনের নেতৃত্ব দানে বংশীয় প্রথার চিন্তা করা ভুল। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই প্রসঙ্গে বলে গেছেন, আমার উম্মত কোনো ভুলের উপর একমত হতে পারে না।
মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আমাদের সবাইকে গোমরাহী থেকে মুক্ত রাখুন, হেদায়াত দান করুন। আমীন…..।