জন্ম মানেই মৃত্যু। যার জন্ম নেই তার মৃত্যু নেই। পৃথিবীতে প্রতিদিন কতো মানুষ আসে। আবার কতো মানুষ চলে যায়! পৃথিবী এ আসা যাওয়ার মিছিল দেখে অভ্যস্ত। তবে কিছু মানুষের আগমনে পৃথিবী নন্দিত হয়। আবার কিছু মানুষের প্রস্থানে পৃথিবী হয় বেজায় ব্যথিত। তাঁদের বিদায়ে সবার সাথে পৃথিবীটাও কাঁদে। কারণ একজন আলেমের মৃত্যু মানে যে একটি পৃথিবীর মৃত্যু! একজন আলেমের মৃত্যুতে পৃথিবীটা মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করে। জগতবাসীর হৃদয় গভীরে রক্তক্ষরণ ঘটে। কারণ এ মানুষগুলো ভালোবাসার রাজপথ বেয়ে মানুষের আত্মর গহীনে ঢুকে যায়। নিজের সবটুকু বিলিয়ে দিয়ে অন্যকে সত্যের সোনালী পথ দেখায়। পৃথিবী জুড়ে ক্রমেই ছায়াতরু আলেমদের বিদায় মিছিল প্রলম্বিত হতে চলেছে। যাদের ছায়ায় মানুষ হৃদয়ের প্রশান্তি লাভ করতো। দীনের আলোয় আলোকিত হতো। নিকট অতীতে আমরা একে একে অনেকগুলো বটবৃক্ষকে হারিয়েছি। সদ্য বিদায় নেয়া সেসব মনীষীদের নিয়ে আজকের এ ক্ষুদ্র আয়োজন।
اللهم اغفر لهم وارحمهم واعف عنهم واسكنهم بحبوحة جنانك
১। আল্লামা শাহ আহমাদ শফী রহ. (১৮-০৯-২০২০)
চট্টগ্রামস্থ আলজামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার দীর্ঘকালের মুহতামিম ছিলেন। হেফাজতে ইসলামরে আমীর ছিলেন। ১৯১৬ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
২। মাওলানা নূর হুসাইন কাসেমী রহ. (১৩-১২-২০২০)
ঢাকাস্থ জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার মুহতামিম। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ছিলেন। ১৯৪৫ সালে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার চড্ডা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
৩। মুফতী মাওলানা সাঈদ আহমাদ পালনপুরী রহ. (১৯-০৫-২০২০)
ইন্ডিয়ার দারুল উলূম দেওবন্দের শাইখুল হাদীস ও সদরুল মুদাররিসীন ছিলেন।
৪। মাওলানা আব্দুল মুমিন শায়েখে ইমামবাড়ি রহ (০৮-০৪-২০২০)
জমিয়তের উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি ছিলেন। তিনি হুসাইন আহমাদ রহ. এর খলীফা ছিলেন।
৫। মাওলানা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী রহ. (০৫-০১-২০২০)
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া আরাবিয়া ইসলামিয়া উমেদ নগর মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস ছিলেন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি ছিলেন।
৬। মাওলানা আশরাফ আলী রহ. (৩১-১২-২০১৯)
আলহাইআতুল উলইয়া লিলজামিআতিল কাওমিয়্যাহ এর কো-চেয়ারম্যান ও জামিয়া শরঈয়া মালিবাগ মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল ও শাইখুল হাদীস ছিলেন।
৭। মাওলানা আযহার আলী আনওয়ার শাহ রহ. (২৯-০১-২০২০)
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদের খতীব ও আলজামিয়াতুল ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ মাদরাসার মহাপরিচালক ছিলেন। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ছিলেন।
৮। মাওলানা যুবায়ের আহমাদ আনসারী রহ. (১৭-০৪-২০২০)
ব্রাহ্মনবাড়িয়াস্থ বেড়াতলা জামিয়া রাহমানিয়ার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম ছিলেন। খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর, বিশিষ্ট ওয়াজে ও মুফাসসির ছিলেন।
৯। মাওলানা ইমদাদুল হক হবিগঞ্জী রহ. (০৬-১২-২০২০)
তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী রহ. এর ছোটো ভাই। জাতীয় ঈদগাহের সাবেক খতীব। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান জামিয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদরাসার শাইখুল হাদীস। সহীহ বুখারীর আরবী ব্যাখ্যাগ্রন্থ হিদাইয়াতুস সারী ইলা সাহীহিল বুখারী এর লেখক।
১০। মাওলানা খলীলুর রহমান হামিদী রহ. (০৯-১০-২০২০)
আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের আমীর, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া এর সহ-সভাপতি এবং জামিয়া লুতফিয়া আনওয়ারুল উলূম বরুণা মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস। পীর সাহেব বরুণা।
১১। মাওলানা আব্দুশ শহীদ গলমুকাপনী রহ. (২৫-০৬-২০২০)
সিলেটের ঐতিহ্যবাহী জামেয়া দারুস সুন্নাহ গলমুকাপন মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি।
১২। মাওলানা আব্দুল হাই বংশীবপাশা রহ. (২৮-০৩-২০২০)
তিনি সিলেটের একাধিক মাদরাসার শাইখুল হাদীস ছিলেন। তিনি হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ, বংশীবপাশাস্থ মারকাযু তালীমিন্নিসা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
১৩। মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ তৈয়্যব রহ. (২৪-০৫-২০২০)
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া আরাবিয়া জিরি মাদরাসার সুদীর্ঘকালের মুহতামিম। হেফাজতে ইসলামের সহ-সভাপতি।
১৪। মাওলানা মুনীরুজ্জামান সিরাজী রহ. (০৯-০৮-২০২০)
ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বড় হুযুর নামে পরিচিত। ব্রাহ্মনবাড়িয়াস্থ ভাদুঘর জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলূম মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল ও শাইখুল হাদীস ছিলেন।
১৫। মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ ইদরীস রহ. (২৭-০৫-২০২০)
চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া নাসিরুল উলূম নাজিরহাট মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস ছিলেন।
১৬। মাওলানা আব্দুল লতীফ নিজামী রহ. (১১-০৫-২০২০)
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি ছিলেন। সাদামাটা জীবনের অধিকারী ও সহজ-সরল মানুষ হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিলো। তিনি দৈনিক সরকার পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
১৭। মাওলানা মোজ্জাম্মেল হক রহ. (০৮-০২-২০২০)
তাবলীগ জামাতের প্রবীণ মুরব্বী ও কাকরাইল মারকাযের প্রবীণ শূরা সদস্য ছিলেন। তিনি মুফতিয়ে আযম ফয়জুল্লাহ রহ. এর খলীফা ছিলেন।
১৮। মাওলানা আব্দুল আলীম হুসাইনী রহ. (১৮-০৩-২০২০)
নারায়নগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মারকাযুল উলূম আলইসলামিয়া হাজীপাড়া মাদরাসার শাইখুল হাদীস ছিলেন। তিনি হুসাইন আহমাদ মাদানী রহ. এর খলীফা ও হেফজত আমীর আল্লামা আহমাদ শফী রহ. এর সহপাঠী ছিলেন।
১৯। মাওলানা ইসহাক নূর রহ. (২৩-০৩-২০২০)
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। হেফাজত আমীর আল্লামা আহমাদ শফী রহ. এর মেয়ের জামাতা ছিলেন। তিনি রাঙ্গুনিয়ার জামেয়া মেহেরিয়া মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন।
২০। মুফতী ড. আব্দুল্লাহ বিক্রমপুরী রহ. (০৮-০৪-২০২০)
মুন্সিগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মোস্তফাগঞ্জ মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস ছিলেন। তিনি ঢাকার ইসলামপুরস্থ তাতিবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব ছিলেন।
২১। মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশওয়ারী রহ. (১৪-০৪-২০২০)
খেলাফত মজলিস ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর শীর্ষ নেতা ছিলেন। তিনি একজন নির্লোভ নিরহঙ্কার আলেম ও বরেণ্য রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি মির্জাপুরের পীর হিসেবেও খ্যাত ছিলেন।
২২। মাওলানা আব্দুর রহীম বোখারী রহ. (১৬-০৪-২০২০)
জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসার মুহতামিম আল্লামা আব্দুল হালীম বুখারী এর ছোটো ভাই। চকরিয়াস্থ ইমাম বুখারী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। নেজামে ইসলাম পার্টির নেতা।
২৩। মাওলানা আব্দুল মুমিত ঢেউপাশী রহ. (২৮-০৪-২০২০)
তিনি সিলেট বিভাগের শীর্ষ আলেম হিসেবে পরিচিত ছিলেন। একাধিক মাদরাসায় হাদীসের দরস দান করেছেন। তিনি মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ঢেউপাশা গ্রামে জন্মগ্রহণ করে।
২৪। মাওলানা মুহাম্মাদ আবু তাহের রহ. (২০-০৫-২০২০)
চট্টগ্রামস্থ জামিয়া দারুল মা‘আরিফের মুহাদ্দিস ছিলেন। মহেশখালীর কালাগাজির পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। লেখক ও কবি হিসেবে তাঁর বেশ সুনাম ছিলো।
২৫। মাওলানা আনওয়ারুল হক চৌধুরী রহ. (০১-০৬-২০২০)
সিলেটের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম। বালাগঞ্জের হযরত শাহ সুলতান রহ. মাদরাসা ও মহিলা মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন।
২৬। মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ বাশার রহ. (০৮-০৬-২০২০)
বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ। বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
২৭। মাওলানা কেফায়াতুল্লাহ নূর রহ. (১০-০৬-২০২০)
ব্রাহ্মনবাড়িয়ার মুফতী নূরুল্লাহ রহ. এর বড় ছেলে। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলাস্থ পান্থশালা মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন।
২৮। মাওলানা রহীমুল্লাহ কাসেমী রহ. (২৫-১১-২০২০)
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব, ফেনীর লালপোল সোলতানিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস, গুণকবাবুপুর দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন।
২৯। মাওলানা রশীদ আহমাদ রহ. (২০-১২-২০২০)
জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহীমিয়া উজানী, কচুয়া, চাঁদপুর মাদরাসার স্বনামধন্য শাইখুল হাদীস ছিলেন। তিনি লাকসামের হুযুর হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
৩০। মাওলানা আবুল কাসেম রহ. (১৮-১০-২০২০)
ফেনী জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর ও জহিরিয়া মসজিদের খতীব ছিলেন।
৩১। মাওলানা আবুল হাসান রহ. (০৫-০৭-২০২০)
কক্সবাজার জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর ও জোয়ারিয়ানাল মাদরাসার পরিচালক ছিলেন।
৩২। মুফতী উবাইদুল মতীন রহ. (১২-০৫-২০২০)
ঠাকুরগাঁও গোয়াপাড়া জামেয়া ইসলামিয়া ইবরাহীমিয়া দারুস সালাম কওমী মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদীস ছিলেন।
৩৩। মাওলানা খলীলুর রহমান হাজী সাহেব হুযুর রহ. (২৪-০২-২০১৯)
সিলেটের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া কাসিমুল উলূম দরগাহ মাদরাসার প্রবীণ মুহাদ্দিস। হযরত শাহপরান রহ. মাজার মসজিদের খতীব। সিলেটস্থ ইসলামিক ফিকহ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন।
৩৪। মুফতী আবুল কালাম যাকারিয়া রহ. (১১-০৩-২০১৯)
সিলেটের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া কাসিমুল উলূম দরগাহ মাদরাসার মুহতামিম। সিলেট জেলা দাওয়াতুল হক বাংলাদেশের আমীর ছিলেন।
৩৫। মাওলানা শফীকুল হক আমকুনী রহ. (২০-০৪-২০১৯)
সিলেটের জামিয়া মাহমুদিয়া ইসলামিয়া সোবহানীঘাট মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম। সোবহানী ঘাট মসজিদের মুতাওয়াল্লী ও খতীব ছিলেন।
৩৬। আল্লামা শিহাবুদ্দীন রহ. (০১-০৬-২০১৯)
সিলেটের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ জামিয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা মাদরাসার শাইখুল হাদীস। সিলেটের আঞ্চলিক শিক্ষাবোর্ড আযাদ দীনী এদারার নাযেমে ইমতিহান ছিলেন।
৩৭। মাওলানা ফখরুদ্দীন সাদিক রহ. (২০-০৬-২০১৯)
সিলেট জেলার বরেণ্য আলেমে দীন। সিলেট সদর উপজেলার জামেয়া আরাবিয়া ইসলামিয়া দলুকান্দি মাদরাসার শাইখুল হাদীস ছিলেন।
৩৮। নূরুল ইসলাম বিশ^নাথী রহ. (১৫-১২-২০১৯)
আল্লামা নূরুদ্দী গওহরপুরী রহ. এর বিশিষ্ট খলীফা। আতাপুর মাদরাসা, কালিগঞ্জ মহিলা মাদরাসা ও বাগিচা বাজার মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন।
৩৯। মাওলানা আব্দুল খালিক কিয়ামপুরী রহ. (১৫-১২-২০১৯)
সিলেটের উসমানী নগর থানাধীন জামেয়া দারুস সুন্নাহ গলমুকাপন মাদরাসার প্রাক্তন শিক্ষাসচিব ছিলেন।
৪০। আল্লামা শরীফ শাহজালাল রহ. (০৮-০১-২০১৯)
চাঁদপুরস্থ জামেয়া ইসলামিয়া ইবরাহীমিয়া উজানী মাদরাসার শাইখুল হাদীস। কারী ইবরাহীম রহ. এর দৌহিত্র। তিনি হাফিজুল হাদীস হিসেবে খ্যাত ছিলেন।
৪১। ড. আহমাদ আলআমরী রহ. (২০-০১-২০১৯)
মদীনা বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ছিলেন। তাঁকে বিষ প্রয়োগে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
৪২। মাওলানা উমর ফারুক রহ. (২১-০২-২০১৯)
ঢাকাস্থ বড়কাটা মাদরাসার শিক্ষক। চুরিহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে ইন্তেকাল করেন।
৪৩। হাফেজ মাওলানা কাউসার আহমাদ রহ. (২১-০২-২০১৯)
চুরিহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে ইন্তেকাল করেন। তার বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদের মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
৪৪। মাওলানা জামিল আহমাদ সাকরোডাবী (৩১-০৩-২০১৯)
দারুল উলূম দেওবন্দের সুপরিচিত সিনিয়র মুহাদ্দিস। বহু গ্রন্থ প্রণেতা। কালজয়ী ভাষ্যকার।
৪৫। ড. জসীম উদ্দীন নদভী রহ. (০৮-০৪-২০১৯)
চট্টগ্রামস্থ জামিয়া দারুল মা‘আরিফের সহকারী পরিচালক ছিলেন। বিশিষ্ট এ আরবী সাহিত্যিক সুলতান যওক নদভী দা.বা. এর মেয়ের জামাতা ছিলেন।
৪৬। মাওলানা আবুল ফাত্তাহ রহ. (০৩-০৭-২০১৯)
বুয়েট সেন্ট্রাল মসজিদের প্রাক্তন ইমাম ও খতীব ছিলেন। এবং ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বড় হুযুর সিরাজুল ইসলাম সাহেবের মেয়ের জামাতা ছিলেন।
৪৭। মাওলানা রহমতুল্লাহ কাউসার নিজামী রহ. (১৩-০৮-২০১৯)
আলজামিয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়া মাদরাসা প্রবীণ মুহাদ্দিস ছিলেন। বহুগ্রন্থ প্রণেতা এ মনীষী জামিয়ার কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর পরিচালক ছিলেন।
৪৮। মাওলানা আব্দুস সালাম রহ. (১৬-০৯-২০১৯)
সিলেটের ছড়ারপার মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন। তিনি তাবলীগ জামাতের একজন মরব্বী ও দীনের একনিষ্ঠ সেবক ছিলেন।
৪৯। মাওলানা জামাল উদ্দীন রহ. (১৭-০৯-২০১৯)
দারুল উলূম দেওবন্দের প্রবীণ মুহাদ্দিস। তাফসীরে জালালাইনের ব্যাখ্যাগ্রন্থ জামালাইন এর প্রণেতা।
৫০। এ.টি.এম হাফেজ হেমায়েত উদ্দীন রহ. (১১-১০-২০১৯)
ইসলামী আন্দোলন এর যুগ্ম মহাসচিব। বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন।
৫১। মাওলানা সালাহ উদ্দীন লাহোরী রহ. (১৭-১০-২০১৯)
কিশোরগঞ্জের আলজামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদরাসার প্রবীণ মুহাদ্দিস।
৫২। মুফতী মনযুর আহমাদ রহ. (০৩-১১-২০১৯)
দারুল উলূম দেওবন্দের মজলিশে শুরার অন্যতম সদস্য। তিনি কানপুর শহরের বিচারপতি ছিলেন।
৫৩। মাওলানা সারওয়ার আহমাদ কাসেমী রহ. (০৪-১১-২০১৯)
দারুল উলূম দেওবন্দের উচ্চতর ফারসী ভাষা শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন।
৫৪। মুফতী গোলাম নবী কাশ্মীরী রহ. (০৭-১১-২০১৯)
দারুল উলূম (ওয়াকফ) দেওবন্দের সিনিয়র মুহাদ্দিস ছিলেন। আরবী ও উর্দু ভাষার এ সাহিত্যিক ব্যক্তিত্ব নেদায়ে দারুল উলূম ও মাসিক যিকর ও নযর এর আমৃত্যু সম্পাদক ছিলেন।
৫৫। মাওলানা জুনাইদ আহমাদ রহ. (০৪-১২-২০১৯)
তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় ইন্তেকাল করেন। তিনি ঢাকার স্বমীবাগস্থ সুলতানুল উলূম কওমী মাদরাসার মুহতামিম ছিলেন।
৫৬। আল্লাম রফিক আহমাদ মহল্লী রহ. (০৭-১১-২০১৯)
পিরোজপুরস্থ সাতকাসেমিয়া মাদরাসার শাইখুল হাদীস ছিলেন। এবং জমিয়তের উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি ছিলেন।
৫৭। মুফতী ইদরীস কাসেমী রহ. (১০-১২-২০১৯)
দারুল উলূম দেওবন্দের প্রাক্তন সহকারী মুফতী। সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রন্থ কাশফুল বারীর লেখক। বহুগ্রন্থ প্রণেতা এ আলেম ঢাকার বিভিন্ন মাদরাসায় হাদীসের দরস দান করেছেন।
৫৮। মাওলানা মুজাহিদ আলহুসাইনী রহ. (১৭-১২-২০২১৯)
তিনি ইয়াদগারে আকাবির হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পাকিস্তানের বিশিষ্ট এ আলেম খতমে নবুওয়াত আন্দোলনের তাঁর দীর্ঘ জীবন অতিবাহিত করেন।
৫৯। মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস রহ. (১৩-০৬-২০২০)
বিখ্যাত ওয়ায়েজ মাওলানা মুশতাকুন্নবী দা.বা. এর পিতা। টুমচর ফাযিল মাদরাসার সাবেক ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ও লক্ষ্মীপু চকবাজার জামে মসজিদের সাবেক খতীব।
৬০। মুফতী ওয়াক্কাস রহ. (৩১-০৩- ২০২১)
বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি যশোর-৫ আসনের সাবেক সাংসদ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি ও আল হাইআতুল উলয়ার সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি যশোর মাদানী নগর মাদ্রাসার প্রতিষ্টাতা প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পুনশ্চঃ ছোট্ট এ তালিকাটি তৈরি হয়েছিলো গত ফেব্রুয়ারী মাসে। ক্ষুদ্র অনুসন্ধানে যাঁদের নাম হাতের নাগালে পাওয়া গিয়েছে তুলে ধরা হয়েছে। এরপর হয়তো আরো অনেক বরেণ্য গত হয়েছেন। নানা কারণে তাঁদের নামগুলো অনুসন্ধান করা সম্ভব হয়নি। কারো গোচরে থাকলে উল্লেখ করে দিলে কৃতজ্ঞ হবো। আমরা সংযুক্ত করে দেবো। নামগুলোর ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তেমন কোনো বিন্যাস লক্ষ্য করা হয়নি। অনেকটা অগোছালো বিন্যাসই বলা চলে।