মুফতী ইবরাহীম হাসান দা. বা.
১৪৪১ হি. রমাযান শুরুর কয়েকদিন আগে মা’হাদুল বুহুসিল ইসলামিয়ার প্রধান মুফতী ও মজলিসে শূরা প্রধান, হযরতুল আল্লাম মুফতী ইবরাহীম হাসান সাহেব দা.বা. মা’হাদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ধারাবাহিক কয়েকটি মজলিসে বর্তমান সময়ের ‘করোনা’সহ অন্যান্য মসীবত থেকে পরিত্রাণ লাভের উপায় হিসেবে বেশ কিছু আমলের কথা পেশ করেন। রেকর্ড থেকে পত্রস্থ করে সামান্য পরিমার্জন করে সেসব আমলের বিবরণ পাঠক সমীপে পেশ করা হচ্ছে।
-দারুত তাসনীফ
মুহতারাম পাঠক, আমাদের উপর বর্তমানে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সকলেই সেই ব্যাপারে অবগত। পুরো বিশ্বই এই মসীবতে দিনাতিপাত করছে। দুনিয়ার সকল কর্ম ও কর্মক্ষেত্র আজ স্হগিত। সবাই আতঙ্কিত। কখন যে কার উপর এই মসীবত আপতিত হবে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। এমতাবস্থায় এ বিপদ থেকে মুক্তি ও পরিত্রাণের জন্য কুরআন ও হাদীসে যে সকল আমল এবং দু‘আর কথা বলা আছে সেগুলো এবং উলামায়ে কেরাম বর্ণিত কিছু বিশুদ্ধ আমলের কথা আমি আপনাদের সামনে পেশ করব।
ঈমান ও আমলকে দুরস্ত করা
আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কোরানে এরশাদ করেন-
من عمل صالحا من ذکراوانثی وهومٶمن فلنحیینه حیاة طیبة
সুখময় ও আনন্দময় জীবন যদি উপভোগ করতে চাও, তাহলে দুটি কাজ করতে হবে-১. ঈমানকে দুরস্ত করা।২. নেক আমল করা।
সুতরাং আমাদের করণীয় হলো- যদি ঈমানের মধ্যে কোন ধরনের খুঁত থাকে তাহলে সেটা ঠিক করে নেয়া। আল্লাহ ব্যতীত গায়রুল্লার উপর কোন রূপ আস্থা ও বিশ্বাস থাকলে তা দূর করা। সবকিছু আল্লাহ তা‘আলার থেকে হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে- এই বিশ্বাস অন্তরে বদ্ধমূল করে নেয়া। আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া অন্য কারো থেকে কখনো কোন কিছু হয়নি, হচ্ছে না এবং হবেও না -এটা ইয়াকীন করা। আমাদের ঈমান আমলকে দুরস্ত করা এবং নামাজ রোযাসহ অন্যান্য আমলগুলো ভালভাবে করতে থাকাই আমাদের সর্বপ্রথম কাজ।
ইস্তেগফার ও আল্লাহমুখীতা
ইস্তেগফার অর্থ হলো, নিজ গুনাহ থেকে আল্লাহ তা‘আলার নিকট বেশী বেশী ক্ষমা চাওয়া।
কুরআনে কারীমের সূরা আনফালে আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি ঈমানদারদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত শাস্তি দিব না যতক্ষণ হে নবী আপনি তাদের মধ্যে বিদ্যমান থাকেন। এখন তো রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে বিদ্যমান নেই। তাহলে কি শাস্তি আসার আশঙ্কা আছে? না, আল্লাহ তা‘আলা দয়া করে আরেকটি সুযোগ আমাদের জন্য রেখেছেন। তা হল, যতক্ষণ পর্যন্ত এই উম্মত ইস্তেগফারের আমল জারী রাখবে ততক্ষণ শাস্তি আসবে না। ইস্তেগফারের আমল এমন যা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে রেখে গিয়েছেন।
ইস্তেগফারের বাক্য কুরআনে কারীমে যেমন আছে হাদীস শরীফেও তেমন রয়েছে। হাদীস শরীফে যেটা আছে সেটা এমন-
استغفرالله العظیم الذی لااله الاهوالحی القیوم واتوب الیه
এটা হল ইস্তেগফারের পরিপূর্ণ বাক্য। সংক্ষেপে আমরা এভাবেও বলতে পারি-
استغفرالله العظیم واتوبالیه
বেশী বেশী পড়ার জন্য এটুকু পড়া আর মাঝে মাঝে পুরাটা পড়া-
استغفرالله العظیم الذی لااله الاهوالحی القیوم واتوب الیه ولاحول ولاقوة الاباللٰه العلی العظیم
এক হাদীসে আছে, এক সাহাবী বলেন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি এক মজলিসেই আমাদের সাথে কথাও বলছিলেন আবার ফাঁকে ফাঁকে ইস্তেগফারের বাক্যও উচ্চারণ করছিলেন। আমি গণনা করলাম, তো দেখলাম যে হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে কথার মাঝে মাঝে প্রায় একশত বার ইস্তেগফার করে ফেললেন। আর সে বাক্যটা ছিল এরকম-
رب اغفرلی وتب علی انك انت التواب الغفور
এটা হাদীস শরীফের বর্ণনা।
আর কুরআনে কারীমের মধ্যে আছে-
رب اغفرلی وتب علی انك انت التواب الرحیم
এরকম আরো যত বাক্য আছে যার দ্বারা ইস্তেগফার করা যায় সেগুলো দ্বারা আমরা ইস্তেগফার করতে থাকব।
একটি বিশেষ আমল
يا حى يا قيوم আল্লাহ তা‘আলার দুটি গুনবাচক নাম। আল্লাহ তা‘আলার এদুটি গুন বাচক নামের ব্যাপারে হাদীস শরীফে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, এদুটি আল্লাহ তা‘আলার ইসমে আ’জম। অর্থাৎ অতি মহান নাম।ইসমে আ’জমের বৈশিষ্ট্য হল, যে ব্যক্তি এর উসীলা দিয়ে দু‘আ করে আল্লাহ তা‘আলা সেই দু‘আ কবুল করেন। يا حى يا قيوم এই দু‘আটি আমাদের বেশী বেশী পড়া দরকার। যদিও পূর্ণ দু‘আ টি এমন-
یاحی یا قیوم اصلح لی شأنی کله ولاتکلنی الی نفسی طرفة عین
কিন্তু বদর যুদ্ধের দিন হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু يا حى يا قيوم পড়ছিলেন। এর দ্বারা বুঝা যায় এবং হাদীসে পাকে ইঙ্গিতও পাওয়া যায় যে অতি মসীবতের সময় শুধু یاحی یا قیوم পড়তে থাকলেও আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে মদদ -এর ব্যবস্হা হয়। সত্যিই বদর যুদ্ধ যেদিন হবে তার আগের রাতে হুজুরের দু‘আর বরকতেই আল্লাহ তা‘আলা গায়েবি মদদের জন্য ফেরেশতা নাযিল করেছেন। সুতরাং যদি এই করুণ মুহূর্তে ও আশংকাজনক অবস্থায় আমরা নিজেরা পরিবারবর্গসহ দৈনিক পাঁচশত বার করে এই দু‘আ টি পড়ি তাহলে আশা করি আল্লাহ তা‘আলা আমাদের থেকে এই মসীবত দূর করে মদদের ব্যবস্হা করবেন, ইনশাআল্লাহ।
সালাতুত তাওবা ও সালাতুত শোকর
আল্লাহ তা‘আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:
وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ وَمَنْ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا اللَّهُ وَلَمْ يُصِرُّوا عَلَى مَا فَعَلُوا وَهُمْ يَعْلَمُونَ (135) أُولَئِكَ جَزَاؤُهُمْ مَغْفِرَةٌ مِنْ رَبِّهِمْ وَجَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَنِعْمَ أَجْرُ الْعَامِلِينَ (136)
‘আর যারা কোনো মন্দ কাজ অথবা নিজের প্রতি জুলুম করে ফেলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রাথনা করে, আল্লাহ ব্যতীত কে পাপ ক্ষমা করবেন? এবং তারা যা করে জেনে শুনে তার পুনরাবৃত্তি করে না। তারাই ঐ সকল লোক, যাদের পুরস্কার হলো তাদের প্রতিপালকের ক্ষমা এবং জান্নাত, যার পাদদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত; সেখানে তারা স্থায়ী হবে। এবং সৎকর্মশীলদের পুরস্কার কতইনা উত্তম! সূরা আলে ইমরান: ১৩৫-১৩৬।
ইমাম তিরমিযী রহ. -এর ব্যাখ্যামতে হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াত দ্বারাই সালাতুত তওবার ইস্তিম্বাত্ব করেছেন।
অতএব বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিদিন কমপক্ষে একবার করে হলেও “সালাতুত তওবা” নামক এই নামাজ আদায় করব। যে সকল নামাজের আগে বা পরে নফল পড়া যায় এরকম কোন এক সময়ে আমরা এই ‘সালাতুত তওবা’ তথা তওবার নামাজ আদায় করে আল্লাহ তা‘আলার নিকট নিজ গুনাহের ক্ষমা চাইব।
সাথে সাথে কোন এক নামাজের সময় নির্ধারণ করে নিয়ে আমরা আল্লাহর দরবারে দুই রাকাত “শুকরিয়া নামাজ” আদায় করব। উদ্দেশ্য হল, আল্লাহ তা‘আলা বিগত ২৪ ঘন্টা আমাকে সকল প্রকার বালা মসীবত এমনকি বর্তমান সময়ের এই কঠিন মসীবত থেকে হেফাজতে রেখেছেন। যদি আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা হয় তাহলে আল্লাহ নেয়ামতকে বাড়িয়ে দিবেন। এরপর দুই রাকাত “সালাতুল হাজত”ও আদায় করব। যাতে আল্লাহ তা‘আলা আমাদের এই হাজত পুরণ করেন যে, আমরাসহ সমগ্র বিশ্ব থেকে এই কঠিন মসীবত তিনি দূর করে দেন।
মাসনুন দু‘আর আমল
দু‘আর আমলের মধ্যে দু‘আয়ে ইউনুস বেশি বেশি করে পড়বো। তার সাথে এই দু‘আটিও পড়বো:
اللٰهم انی اعوذبك من البرص والجنون والجذام ومن سيّء الاسقام.
এই দু‘আর উসিলায় আল্লাহ তা‘আলা যেকোনো কঠিন মন্দ রোগ থেকে আমাদের হেফাজত করবেন ইনশাআল্লাহ।
আরো একটি প্রসিদ্ধ দু‘আ হাদীস শরীফে আছে, হযরত আবান বিন উসমান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সকাল বেলায় তিনবার পড়ে নিবে
بسم اللّٰه الذی لایضرمع اسمه شیء فی الارض ولافی السماء وهوالسمیع العلیم
সারাদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তার সাথে কোন ক্ষতির সম্পৃক্ততা হবে না। আবার যদি সন্ধ্যায় পড়ে নেয় তাহলে সকাল পর্যন্ত সে নিরাপদ থাকবে। ইনশাআল্লাহ। এই দু‘আটিও আমরা সকাল সন্ধ্যা তিন তিন বার পড়ার চেষ্টা করব।
কুরআনে পাকের তিলাওয়াত
দৈনিক কুরআানে পাকের তিলাওয়াত করব। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, যেই ঘরে কুরআনে পাকের তিলাওয়াত হয় সেই ঘরে রহমতে ফেরেশতা আগমন করে এবং তাতে আল্লাহর রহমত বর্ষণ হয়। শয়তান দূর হয়ে যায়। যদি আমাদের উপর আল্লাহর রহমত বর্ষণ হয় তাহলে আশা করা যায় আমাদের থেকে আল্লাহর গজব-গোস্বা দূর হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ।
তাই দৈনিক বিশেষভাবে কুরআনে পাকের তিলাওয়াত করব। হাফেজে কুরআন রা দৈনিক পাঁচ পারা দশ পারা যতটুকু পারবে তিলাওয়াত করবে। আর গায়রে হাফেজগন দৈনিক কমপক্ষে এক পারা থেকে তিন পারা তিলাওয়াত করবে।
নফল সদকা
একটা হল ফরজ সদকা; অর্থাৎ যাকাত যেটা আমরা রমজান মাসে আদায় করে থাকি। যদি এসময়ে কারো বর্ষপূর্তি হয়ে থাকে তাহলেতো সে আদায় করবেই। তবে যাকাত ছাড়াও আমরা এসময়ে নফল সদকার দিকে খুব বেশি মনোনিবেশ করব। বিশেষ করে বর্তমানে এমন অনেক ভাল ভাল লোক যাদের আয় রোযগার ছিল সীমিত। একদিকে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। অন্য দিকে তাদের নিকট সঞ্চিত সম্পদও নেই। যার কারণে এই লোকগুলো খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। এখন না তাদের কারো নিকট হাত পাতার ইচ্ছে বা সুযোগ আছে আর না তাদের প্রয়োজনীয় খরচের তৌফিক আছে। এধরনের লোকদের কাছে সাধ্যমতো কিছু পৌঁছে দেয়া আমাদের একান্ত কর্তব্য। এজন্য নফল সদকার দিকে আমরা খুব বেশি মুতাওয়াজ্জুহ হই। “সদকা” এটা অপমৃত্যু থেকে মুক্ত রাখে। সদকা ‘বালা’ কে দূর করে দেয়। যদি আমরা বিষয়টি বিশ্বাস করে নিই যে, সদকা ‘বালা’ কে দূর করে দেয় তাহলে বেশিবেশি সদকা করতে আমাদের কি অসুবিধা? তাই আমরা এই আমলটি বেশি পরিমাণে করার চেষ্টা করব।
অনেক এলাকায় বিভিন্নভাবে সম্মিলিত উদ্যোগে অর্থ সংগ্রহ করে লোকদের নিকট পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। আমরা নির্ভরযোগ্য ওলামাদের সাথেও যোগাযোগ করি। কারণ, তাদের কাছেও এমন অনেক ব্যক্তি নিজেদের হাজত পেশ করে রেখেছেন যারা লোকদের কাছে পৌঁছুতে পারবে না।
বর্তমানে যেহেতু মাদরাসাগুলো বন্ধ সেকারণে অনেক জায়গায় ওস্তাদদের বেতনও বন্ধ হয়ে আছে। উলামায়ে কিরাম তাদের পরিবার নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করছেন। এমতাবস্থায় আমরা যারা বিত্তবান, আমাদের উচিৎ হবে- নিজেদের নফল সদকার হারকে বাড়ানো।
সীরাতের তালীম
এই ধরনের মসীবতের সময়ে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো- সীরাত তথা নবীজীর জীবনী পাঠ ও তার তালীম। হাকীমুল উম্মত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবী রহ. এর সময়ে একবার থানাভবন এলাকায় মহামারী দেখা দিলে তিনি একটি সীরাতের কিতাব লেখা আরম্ভ করেন। আল্লাহ তা‘আলা এর বরকতে দ্রুত মহামারী দূর করে দেন।
থানবী রহ. লিখিত সে কিতাবের নাম ‘নাশরুত তীব’। বাংলাতে এর অনুবাদ হয়েছে ‘যে ফুলের খোশবুতে সারা জাহান মাতোয়ারা’ নামে। হযরত মাওলানা আমীমুল ইহসান রহ. কর্তৃক অনূদিত এ গ্রন্থটি আমরা প্রতিদিন তালীম করতে পারি। এছাড়াও হযরত মাওলানা আবুল হাসান আলী নদবী রহ. লিখিত ‘নবীয়ে রহমত’ অথবা হযরত মুফতী শফী রহ. লিখিত ‘সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া’ কিতাবদ্বয়ও থেকেও তালীম করতে পারি।
পরিশিষ্ট
সর্বপরি আমাদের সবসময় আল্লাহ তা‘আলার কাছে দু‘আয় লিপ্ত থাকতে হবে। নিজের জন্য যেমন দু‘আ করব অন্যদের জন্যও দু‘আ করব। বলব, হে আল্লাহ! তুমি সকল মুসলিম উম্মাহকে এই বালা মসীবত থেকে হেফাজত করো। হাদীস শরীফে আছে, যখন কোন ব্যক্তি অন্যের জন্য দু‘আ করে তার অনুপস্থিতিতে আল্লাহ তা‘আলা তার কাঁধের উপর একজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেন। যে ফেরেশতা বলতে থাকে آمين ولك مثل ذلك অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা তোমার ও অন্যদের জন্য এ দু‘আ কবুল করে নিন। আমীন। দেখা গেল- অন্যের জন্য দু‘আ করলে নিজের জন্যও কবুলের উসীলা হয়ে যায়।
সুতরাং আমরা সকলেই নিজ নিজ পরিবারবর্গ, সমস্ত মুসলিম উম্মাহর জন্য বেশি বেশি দু‘আ করি।
আল্লাহ তা‘আলা তৌফিক দান করুন এবং তিনি আমাদের দু‘আগুলো কবুল করে নিন। আমীন। যারা আক্রান্ত হয়ে গেছে আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে দ্রুত শেফা দান করেন। যারা আক্রান্ত হয়ে ঈমানের সাথে দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করেছেন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন এবং জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন। আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন।