মা’হাদ ক্যালেন্ডার ২০২৬

ইসলাম এক সুমহান আদর্শ। শেষ যমানার পথহারা উম্মতের জন্য খোদায়ী নূরের ঝর্ণাধারা। এই আদর্শ ক্ষুদ্র গণ্ডিতে আটকে থাকতে আসেনি। আদর্শ হিসেবে এবং বিজয়ী শক্তি হিসেবে পুরো পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে যেতে এসেছে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন, ‘তারা তাদের মুখ দিয়ে আল্লাহর নূর নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তার নূরকে অবশ্যই পরিপূর্ণ করবেন, তা কাফেরদের জন্য যতই অপ্রীতিকর হোক। তিনিই তো নিজ রাসূলকে হেদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন, তাকে সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করার জন্য। তা মুশরিকদের জন্য যতই অপ্রীতিকর হোক।’—সূরা সফ; আয়াত ৮, ৯।

সহীহ বুখারীর এক বর্ণনায় আছে, হযরত খাব্বাব রাযি. মুশরিকদের অত্যাচারে ভারাক্রান্ত হয়ে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে নালিশ নিয়ে আসেন এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ ও সাহায্য চাওয়ার অনুরোধ করেন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই অবশ্যই এই দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গতায় পৌঁছাবেন, এমনকি মানুষ যানবাহনে আরোহন করে (ইয়ামানের) সান‘আ থেকে হাজারামওত পর্যন্ত এমন অবস্থায় সফর করবে যে, সে আল্লাহ ছাড়া কারো ভয় করবে না। সহীহ বুখারী- হাদীস : ৩৮৫২।

এই সকল প্রতিশ্রুতি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবদ্দশাতেই পূরণ হয়েছিল। পুরো আরব উপদ্বীপ মুসলমানদের করতলগত হয়ে গেছে। সেখানে কাফেরদের সকল দর্প চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গিয়ে ইসলামের বিজয় প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল। এই ভিত্তির উপর ভর করে পরবর্তীতে খোলাফায়ে রাশেদার আমলে তা প্রায় অর্ধ জাহান পর্যন্ত বিস্তৃতি লাভ করে। উমাইয়া শাসনামলে ইসলামী সাম্রাজের সীমানা স্পেন থেকে সিন্ধু পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। আব্বাসী শাসনামলে  জ্ঞান-বিজ্ঞান ও চিকিৎসা শাস্ত্রে বিপ্লব সাধিত হয়। আর উসমানী শাসন আমলে মুসলিমরাই ছিল বিশ্বের পরাশক্তি। নববী যুগ থেকে বিংশ শতাব্দী পর্যন্ত মুসলিমরাই বিশ্বকে আদল, ইনসাফ, সাম্য ও ন্যায়ের দীক্ষা দিয়েছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, বর্তমানে মুসলিমরা কুফুরী শক্তি দ্বারা নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত। এর একটি কারণ হল তাদের গৌরবময় অতীত সম্পর্কে অজ্ঞতা ও তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণে উদাসীনতা। এবার ছয়টি অন্যতম মুসলিম শাসন আমলকে ২০২৬ এর ক্যালেন্ডারের বিষয় হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে আমাদের অতীতের সোনালী ইতিহাস জানার ও হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

মুসলিম শাসন আমল

খেলাফতে রাশেদা (১১-৪০ হিজরী, ৬৩২-৬৬১ খ্রিস্টাব্দ)

খেলাফতে বনূ উমাইয়া (৪১-১৩২ হিজরী, ৬৬১-৭৫০ খ্রিস্টাব্দ)

খেলাফতে আব্বাসিয়া (১৩২-৬৫৬ হিজরী, ৭৫০-১২৫৮ খ্রিস্টাব্দ)

মামলুক সালতানাত (৬৪৮-৯২৩ হিজরী, ১২৫০-১৫১৭ খ্রিস্টাব্দ) 

খেলাফতে উসমানিয়া (৯২৩-১৩৪২ হিজরী, ১৫১৭-১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ)

মোগল শাসন (৯৩২-১২৭৪ হিজরী, ১৫২৬-১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ)

ক্যালেন্ডার বৈশিষ্ট্যসমূহ
ঈসায়ী তারিখের পাশাপাশি হিজরী সন ও বঙ্গাব্দ উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারি ছুটির দিনসমূহ চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে।
নফল রোযা রাখার সুবিধার্থে সাপ্তাহিক ও মাসিক দিনগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

ঝকঝকে আর্ট পেপারে ছাপা ছয় পাতার চমৎকার এই ক্যালেন্ডারটি সংগ্রহ করতে চাইলে যোগাযোগ করুন-
মা’হাদ প্রকাশনী
মা’হাদুল বুহুসিল ইসলামিয়া, বসিলা গার্ডেন সিটি, মুহাম্মাদপুর, ঢাকা-১২০৭
অথবা ফোন করুন: ০১৮২৩২৬৫০৩০, ০১৬৯০০৮৪৮৭৬
চাইলে ইনবক্স করতে পারেন মা’হাদের ফেইসবুক পেইজে : www.facebook.com/mbuhus

পোস্টটি লাইক ও শেয়ার করুন।

একটি মন্তব্য লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *