দেওবন্দের উস্তাদের (মাওলানা জামীল আহমদ সাকরোডাবী) মাহাদে আগমন

দারুল উলূম দেওবন্দ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দীন শিক্ষার প্রধানতম বিদ্যাপীঠ। কওমীধারার শিক্ষাকেন্দ্রগুলোর সূতিকাগার হলো এ দারুল উলূম দেওবন্দ। আন্তর্জাতিক এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সনামধন্য প্রবীণ উস্তাযুল হাদীস ওয়ালফিকহ, বহু গ্রন্থপ্রণেতা, উলামা মহলের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব মাওলানা জামীল আহমদ সাকরোডাবী। বাংলাদেশের উলামায়ে কেরামের রয়েছে দারুল উলূম দেওবন্দের সাথে নাড়ির টান ও হৃত্বিক বন্ধন। তাই বাংলাদেশে দারুল উলূম দেওবন্দের কর্ণধার উলামায়ের কেরামের অবাধ যাতায়াত বিদ্যমান। সেমতে গত ৩১ জানুয়ারি ২০১৭ইং তারিখে মুফতী জামীল আহমদ সাহেব সাকরোডাবী (হাফীযাহুল্লাহ) বাংলাদেশে আগমন করেছিলেন। মাহাদ কর্তৃপক্ষ উলামায়ে কেরামের সাথে গভীর সেতুবন্ধ তৈরির লক্ষ্যে তাঁদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার চেষ্টা করে। মুরব্বী ও বুযুর্গ পর্যায়ের উলামায়ে কেরামের আগমনকে মাহাদ নিজের জন্য সৌভাগ্যের পরশ জ্ঞান করে এর জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে থাকে। আল্লাহর অশেষ অনুকম্পায় মহামান্য মেহমানের অসংখ্য প্রোগ্রামের ভিড়ে আমরাও জায়গা করে নেয়ার সৌভাগ্য লাভে সমর্থ হই। মুহাতারাম মেহমান মাহাদে এসে রাত্রিযাপন করেন। মেহমান মাহাদের শিক্ষা কারিকুলাম ও ব্যবস্থাপনা এবং সুনিবিড় জ্ঞানিক পরিবেশ দেখে অতিশয় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। ফজর শেষে  প্রথমে মাহাদের তালিবে ইলমদেরকে আল আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের নামক উসূলের বিখ্যাত কিতাব থেকে দরস দান করেন। এরপর স্থানীয় ধর্মপ্রাণ জন সাধারণ, উলামায়ে কেরাম ও তালিবে ইলমদের উদ্দেশে যুগোপযুগী বিভিন্ন বিষয়ে সারগর্ভ আলোচনা করেন। দীনী ইলমের সাথে সম্পৃক্ত উলামা তলাবা মহলের সকলেই জ্ঞাত যে মেহমানের রচনা সম্ভারে সাবলীলতা ও প্রাঞ্জলতা এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। তিনি জটিল কঠিন বিষয়গুলোকেও বেশ আয়েশী ভঙ্গিতে সাদামাঠা ও সাহজিকভাবে উপস্থাপন করতে অতিশয় পারঙ্গম। লেখ্যভাষার মত তার কথ্য ভাষায়ও এ বৈশিষ্ট্য সমানভাবে বিরাজমান ছিল। অনুষ্ঠান শেষে নাস্তা পর্ব শেষ করে এক ঝাঁক মুগ্ধতা ও মধুময় অনুভূতি নিয়ে বিদায় গ্রহণ করেন। যাবার সময় দারুল উলূম দেওবন্দে বেড়াতে যাবার নিমন্ত্রণও দিয়ে যান মহামান্য মেহমান।

পোস্টটি লাইক ও শেয়ার করুন।

একটি মন্তব্য লিখুনঃ

Your email address will not be published. Required fields are marked *